উমরাহ হজ্জ সংক্রান্ত

Question

আসসালামু আলাইকুম। আমার ৩ টি প্রশ্ন।
১। একজন উমরাহ করতে যাচ্ছে। অন্য একজন যে এই মুহুর্তে উমরাহ বা হজ্জ করতে পারছেনা,,সে যদি দুই রাকাআত নামাজ পড়ে একটি কাপড়ের টুকরো দেয় এবং যে উমরাহ করতে গিয়েছে তাকে দেয় সে ওই টুকরাটি কাবা ঘর মুছে কোনো কিছুর নিয়তে যেমন ভালো বিয়ে হওয়া বা এরকম কিছু কাপড় টি নিয়ে আসে এবং যার জন্য নিয়ত করা হয়েছিলো সে কাপড়টি দিয়ে শরীর মুছে নেয় এরুপ কি জায়েজ আছে কিনা।

২। অনেকে কাফনের কাপড় কিনে কেউ হজ্জ বা উমরাহ করতে গেলে তাকে দিলে সে ওইটা জমজম কূপের পানিতে ভিজিয়ে আনবে এরূপ করা কি জায়েজ কিনা।
৩। বাংলাদেশ থেকে কোনো মহিলা উমরাহ করতে গেলে তার নামাজ কি কসর হবে কিনা।
শায়খ উত্তর গুলো দিলে উপকার হয়। জাজাকুমুল্লাহ খাইরান।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এমন কোনো নিয়ম বা পদ্ধতি শুনিনি। জমজমের পানি পান করতে পারবেন। সালাতুল হাজত পড়ে দু'আ করতেও পারবেন।

(২)
এমনটা ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এর কোনো প্রয়োজনিয়তা ও নাই। মানুষের আ'মলের কারণেই তার সাজা হবে ও সে প্রতিদান পাবে।

(৩)
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে  পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)বিস্তারিত জানুন-১২৮১

তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429

বাংলাদেশ থেকে কোনো মহিলা উমরাহ করতে গেলে সে মহিলা  কসর করবে।