জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কোনো দোকানদার যদি সন্তুষ্টি চিত্তে ক্রেতা থেকে টাকা কম নেয়,তাহলে সেই কমানো জায়েজ আছে।
এই কমানো টাকার মালিক মূল ক্রেতা হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
{یٰٓاَیُّہَا الَّذِیْنَ آمَنُوْا اَوْفُوْا بِالْعُقُوْدِ} [المائدۃ: ۱]
হে ঈমানদার! তোমরা লেনদেন ঠিকঠাক ভাবে পরিপূর্ণ করো।
عن کثیر بن عبد اللّٰہ بن عوف المزني عن أبیہ عن جدہ قال: قال رسول اللّٰہ ا: المسلمون علی شروطہم۔ (سنن الترمذي ۱؍۲۵۱)
মুসলমান গন শর্তের ভিত্তিতেই চলে।
ویشترط في ذٰلک رضا العاقدین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۴؍۴۱۱)
এক্ষেত্রে ক্রেতা বিক্রেতার সন্তুষ্টি শর্ত।
এক্ষেত্রে যেহেতু ঐ টাকার মালিক ঐ শিক্ষার্থী,সুতরাং এই টাকা তাকে ফেরত দিতে হবে।
এই টাকার মালিক কোনোভাবেই আপনি হবেননা।
তবে আপনি যেহেতু কাজ করেছেন,সেই বাবদ আপনাকে যদি পারিশ্রমিক হিসেবে সেই শিক্ষার্থী কিছু টাকা দিতে চায়,তাহলে আপনি তা নিতে পারেন।
الأجرۃ إنما تکون في مقابلۃ العمل۔ (شامي ۴؍۳۰۷ زکریا)
পারিশ্রমিক কাজের বিনিময়ে হয়।
★★শিক্ষার্থীর সন্তুষ্টি ব্যাতিত আপনি টাকা নিতে পারবেননা।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
لقولہ عز وجل: {یٰٓأَیُّہَا الَّذِیْنَ آمَنُوْا لاَ تَاْکُلُوْا اَمْوَالَکُمْ بَیْنَکُمْ بِالْبَاطِلِ اِلاَّ اَنْ تَکُوْنَ تِجَارَۃً عَنْ تَرَاضٍ مِنْکُمْ} [النساء، جزء آیت: ۲۹]
যার সারমর্ম হলো
হে ঈমানদারগন তোমরা অবৈধ ভাবে কাহারো সম্পদ খেয়োনা।
হ্যাঁ যদি সন্তুষ্টি চিত্তে হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই ,,,,,,
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ»
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
(আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাত ২৯৯৪৬।)
,
(০২) ফাউন্ডেশনের অর্থঃ ভিত্তি,ভিত,বুনিয়াদ।
سُنَّة ج سُنَن [سنن]
[সুন্নাহ] এর অর্থঃ রীতি,নিয়ম,পথ,পন্থা,সুন্নত,স্বভাব,হাদীস।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এর অর্থ দাড়ায় সুন্নাহকে ভিত বানিয়ে তৈরী কৃত সংগঠন।