আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।এই প্রশ্নে একটু বিস্তারিত লিখেছি যা আগের প্রশ্নে লিখি নাই।
একজন মেয়ে মা বাবা না জানে মত বিয়ে করে।এখনো বাবার বাড়িতে থাকে।মা বাবা কেউ মেনে নেয় নি বিয়েটা।মা বাবা এখনো চায় মেয়ে যেন বিয়েটা ভেন্গে দেয়,চলে আসে ঐ বিয়ে থেকে।কিন্তু মেয়েটা আসবে না বলে দিছে।সে বলেছে বিয়ে করেছি যতদিন বাচি স্বামীর সাথেই বাচব ইনশাল্লাহ। মরে গেলেও আসব না। মা অনেক অনেক বেশি অভিশাপ দিচ্ছে এখনো।যেমনঃওর বাচ্চারাও ওকে এমন কস্ট দিক যা আমি পাচ্ছি, একটা মরে গেছে না এখন নাই আমি ও যাবে গা আর কি,আমি মরে গেলে দেখতে আসবি না ইত্যাদি ।কান্না করে করে থাকে।শুধু একটাই দোষ ছেলেটা ব্যাবসা মানে মিস্টির দোকান করে,চাকরী করে না আর সমবয়সী সেটা।মেয়েটার মা বাবা ২ জনই চাকরী করে।মেয়েটার মা বেশি হিংসা করে কথা বলে ছেলেটার নামে,বলে যে চায়ের দোকানদারকে মেয়ে দিব নাকি?কিন্তু ছেলেটার মিস্টির শোরুম ওটা।আর ছেলেটার ভাই নিজে অনেক সুদী টাকা নিছে খালি স্টাম্ফে ছেলেটার সাইন নিছে,ছেলেটা জানতই না ভাইকে বিশ্বাস করে সাইন দিছে।অনেক টাকা নিছে লোন।ছেলেটা সেই সুদী টাকা থেকে বাচার জন্য নিজের ঘরের উঠোন বিক্রি করে দিছে।কিন্তু ঘর আর ছোট একটু জায়গা থাকবে।আগে টাকা পয়সা ছিল এখন একটু কস্টে পরে গেছে ঐ সুদী টাকা গুলোর কারনে।প্রায় নাকি পরিশোধ করে ফেলছে আরো কিছু বাকি আছে।আর ২ বছরের মধ্যে টাকা কাভার করতে পারলে বিক্রি করেছে যে জায়গা উঠাও কেনার প্ল্যান আছে।যাকে বিক্রি করেছে তার সাথে এমন কথা হয়েছে আর কি।ভালভাবে ব্যাবসাটা চললে ইনশাল্লাহ সবকিছু আগের মত স্বাভাবিক হবে বা হতে পারে।এসব কিছু জানার পর মেয়েটার মা আরো ক্ষেপে গেছে।মেয়েটা মাকে বুঝিয়েছে তবু ঐরকম করে মা।আরো একজনও বুঝিয়েছিল ছেলেটা অনেক ভাল,তবু এমন করে ওর মা।শুধু এই বিষয়ে না আগে থেকেই মেয়েটার মা রাগ উঠলে কথায় কথায় অভিশাপ দিত নিজের বাচ্চাদের। মেয়েটা স্বামীর সাথে থাকবে।মেয়েটা আরো বলে দিলে দেগ্গা অভিশাপ আর কত? কুফু বলতে ছেলেটা ভাল নামাজ দোয়া পরে চরিত্র ও খুব ভাল,সবাই পছন্দ করে।মাশাল্লাহ যথেষ্ট সুন্দর।বংশ হয়ত আছে মুটামুটি।সম্পদ ছিল কিন্তু ছেলেটার বড় চাচা সব খেয়ে ফেলেছিল মানে নিজের নামে করে নিয়েছিল আগে এসব কিছু নিয়ে ওর বাবা মনে হয় অসুস্হ হয়ে গিয়েছিল।রেলের জায়গায় ২৫ থেকে৩০ লাখ পাইত ওইগুলো ওর ছোট চাচা খেয়ে ফেলেছিল সব একদম।কিন্তু ছেলেটা ছোট বয়স থেকেই পরিবারের হাল ধরেছে, বাবা নাই।সব কিছু পরিবারের দায়িত্ব ছেলেটা পালন করে অথচ ভাইবোন সবার ছোট।বউয়ের হাত খরচা ও দেয়।অন্য ভাইয়েরা পরিবার চালাই না তাই ও চালাই,ভাইয়েরা টাকা থাকলেও দেয় না সংসারে টাকা।ভাই বোন পাড়া প্রতিবেশি সবাই খুব পছন্দ করে।বিয়ের সময় ও ছেলেটার অবস্হা অনেকটা ভাল ছিল।১৫ থেকে ২০ লাখ দিয়ে জায়গা কিনতে পারবে এমন অবস্হা ছিল।এখন একটু সমস্যায় পরে গেছে।ওই সুদী টাকা গুলোর কারনে।ছেলেটা এখনো ছোট ২২ বছর।বাবা ও নাই তাই সব কিছু নিজেকেই করতে হচ্ছে। মেয়েটার বাবা তহ বয়সেও বড় আর দাদার কাছ থেকে জায়গা পাইছে হয়ত ছেলেটার চায়তে একটু বেশি আছে।বিয়ের কথাটা মেয়েটার মা বাবা জেনেছে বিয়ের ১ বছর পর।মেয়েটা পড়ালেখা করে।ওর বাবা বলেছে তুর পড়ালেখা শেষ হলে তুর যেটা ইচ্ছা সেটা করিস।মেয়েটা বলে আমি বিয়েটা ভান্গতে চায় না। বাবা বলল আমি বিয়ে ভেন্গে দিতে বলব না তোকে।জোর করে তোকে বিয়ে দিতাম না দিব ও না।কিন্তুু কাজটা ভাল করস নাই।কিন্তু এই না যে আমি মেনে নিছি।পরে কি করে জানে না তখন ওর বাবা এমনটা বলেছিল ওকে।ওর বাবা ভাবতেছিল হয়ত মেয়ের মোহ কেটে গেলে চলে আসতে পারে পরে আর কি।কিন্তু মেয়েটা কিছুতেই আসবে না বা আসতে চায় না।এর কয়েকমাস পর আবার কথা উঠেছিল তখন ও বলেছিল ওর বাবা আমার দায়িত্ব পড়াশোনা করানো ওকে ওটা করাব।তারপর মা বলে পড়াশোনা কিজন্য ওই ছেলেটার সাথে চলে গেলে।বাবা বলে চলে গেলে ওর কপাল ও খাবে আমার দায়িত্ব পড়াশোনা করানো, করিয়ে ওকে সুযোগ করে দেওয়া ওটা করব। ।মা বেশি মানতে চাচ্ছে না যে।ওদের বিয়েটা কাজী অফিসে ৩ জন সাক্ষীর সামনে হয়েছিল।ওরা স্বামী স্ত্রী চায় একসাথে থাকতে।শুধু ব্যবসা করে আর সমবয়সী ২ জন এটা নিয়ে মা বেশি মানতেছে না।চাকরী করে না তাই।মেয়েটার স্বামী বলে চাকরীর বেতন দিয়ে আমার ১০ দিন ও চলবে না।মানে মাসে ৩০-৪০ হাজার এটা দিয়ে বেশিদিন যাবে না এটা বলে।আর সরকারী চাকরী পাওয়া খুবই কস্ট।মানে সে ব্যাবসায়,হয়ত আরো বেশি আয় করতেছে।কিন্তু মেয়েটার পরিবারে মনে করে চাকরীতে টাকা বেশি আর স্টাটাস ও ভাল কারন ওদের বাসায় কেউ কোনদিন ব্যাবসা করে নি।ব্যাবসা তহ হালাল।স্বামী স্ত্রী একে অপরকে খুব ভালবাসে।একসাথে থাকতে চায়।মেয়েটা টেনশনে পাগলের মত হয়ে গেছে।কান্নাও করতেছে।পুরো পাগল হয়ে যাচ্ছে চিন্তায়।সে চায় স্বামীর সাথে থাকতে।স্বামীও খুব মানে খুব বেশি ভালবাসে মেয়েটাকে।ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তহ ওদের বিয়েটা শুদ্ধ হয়েছে কারন ওরা ৩ জন সাক্ষীর সামনে কাজী অফিসে গিয়ে মোহর ধার্য্য করে বিয়ে করেছিল ১.৫ বছর আগে। ওরা একসাথে থাকতে চায় এতে কি গুণাহ হবে?ওরা মাঝে মাঝে একান্তে দেখা সাক্ষত ও করে।দয়া করে বলবেন মেয়েটা বেশি ভেন্গে পরেছে।সে চায় শুধু তার স্বামীর সাথে সারাজীবন থাকতে।এতে কি গুণাহ হবে?