ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অদৃশ্যমান নাপাকি কাপড়কে ফ্লোরে যদি তিনবার আলাদা ভাবে মগে পানি নিয়ে কাঁচা হয়,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ানো হয়, তাহলে সেই কাপড় পাক-পবিত্র হয়ে যাবে।
*অনেক জায়গায় দেখা যায় বাথরুম করে কেউ ঠিক মতো পানি নেয় না, সেই হাতে তারা সুইচ,কল, বাথরুমের হ্যান্ডেল ধরে এখন সেই বাথরুম অন্য কেউ ব্যবহার করার সময় তাকেও তো ওগুলো স্পর্শ করতে হবে।
এমতাবস্থায় দৃশ্যমান কোনো নাপাকি না থাকলে সুইচ, কল ইত্যাদিকে পাকপবিত্রই ধরে নেয়া হবে।
*আমার বাবা প্রস্রাব করে পানি নেন না তার স্পর্শকৃত সবকিছুকে নাপাক বলা যাবে না। বরং প্রস্রাব যে সব স্থানে লাগবে,শুধুমাত্র সেইসব স্থানকেই অপবিত্র মনে করা হবে।
*বালতি,মগ, বদনায় নাপাক পানি পড়লে তিনবার ধৌত করতে হবে।সেই বালতি মগ থেকে পানি ছিটকে কাপড় বা শরীরে লাগলে কাপড় ও শরীরও নাপাক হবে।
*মেয়েরা প্রস্রাব ধৌতে গিয়ে যে ছিটা লাগে সেই ছিটাকে ধৌত করে নিবে।সেই ছিট ধৌতে করতে গিয়ে আবার যে ছিটা লাগে তাতে কোনো সমস্যা হবে না। বরং পানি হাতে নিয়ে লজ্জস্থানে ছিটিয়ে দিলেই হবে।
*সন্দেহের কারণে সবকিছুকে নাপাক ধরা হবে না। চোখে যদি নাপাকির কিছু না দেখা হয়, তাহলে তা পাক ধরবেন।
পাক নাপাকের একটি মূলনীতি এক্ষেত্রে লক্ষণীয়--
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন। এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে। তবে যদি নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)