আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
430 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
নিম্নের লেখার সত্যতা কত টুকু?

নালাইন শরীফের ফজিলতঃ

 হাফেজ তিলমিসায়ী রাদিয়াল্লাহু আনহু তার নিজের ব্যাপারে একটি ঘটনার উল্লেখ করে বলেন- আমার একবার সমুদ্রে ভ্রমণের সুযোগ হল। সফরে সাগরের এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিল যে জাহাজের যাত্রীদের সবার জীবন ধবংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম এবং মৃত্যুর জন্য প্রহর গুনছিলেন। আমি এ মোবারক নকশাটি জাহাজের নাবিকের কাছে দিয়ে বললাম, আপনি এ মোবারক নকশার উসিলা দিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করুন। ঠিক এ মোবারক নকশার উসিলায় আল্লাহ তায়ালা কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদেরকে বিপদমুক্ত করে দিলেন।


হযরত ইমাম আবুল খায়ের মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ আল যাজরী রাদিয়াল্লাহু আনহু তার ফজিলত সম্পর্কে যে কবিতা রচনা করেছেন নিম্নে সেই কবিতাটি অর্থসহ প্রদত্ত হল-

অর্থাৎ হে নবীজীর পাদুকার নকশা মোবারকের অন্বেষণকারী তুমি এ নকশা পাওয়ার পথ অবশ্যই পেয়ে গেছ।


তুমি এ মোবারক নকশাটিকে মাথার উপর ধারণ কর ও তার প্রতি বিনয়ী হও এবং বারবার চুমু খাও এবং অধিক পরিমাণে বিনয় প্রকাশ কর।


যে ব্যক্তি নবীজীর প্রতি প্রকৃত মহব্বত রাখে সে যেন তার দাবি সম্পর্কে অবশ্যই দলিল পেশ করে।

সহিহ বুখারি শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা কাছতালানী রাদিয়াল্লাহু আনহু স্বরচিত মাওয়াহিবে লাদুনিয়া নামক কিতাবের ১ম খণ্ডের ১৩৭ পৃষ্ঠায় তার ফজিলত সম্পর্কে বলেন:-

অর্থাৎ আবুল কাসেম বিন মুহাম্মদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর না’লাইন শরীফের পবিত্র নকশার পরীতি বরকত এই, যে ব্যক্তি তা নিজের কাছে রাখবে, সে ব্যক্তি জালিমের জুলুম হতে, দুশমনের দুশমনি হতে শয়তানের শয়তানি হতে এবং হিংসুকের হিংসা হতে নিরাপদ থাকবে। গর্ভবতী নারী প্রসববেদনার সময় এ মোবারক নকশাটিকে ডান হাতে ধারণ করলে আল্লাহর রহমতে তার মুশকিল আসান হবে।

আল্লামা জারকানী রাদিয়াল্লাহু আনহু শরহে মাওয়াহিব নামক কিতাবের ৫ম খণ্ডের ৪৮ পৃষ্ঠায় না’লাইন শরীফের পবিত্র নকশার ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেন-

هذا التمثال اثر من اثار المصطفى

অর্থাৎ এই তিমসাল বা নকশা মোবরক নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিদর্শন চতুর্দশ শতাব্দীর মোজাদ্দেদ আলা হযরত আল্লামা ইমাম শাহ আহমদ রেজাখাঁন বেরলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘ফাতাওয়ায়ে রেজভীয়া’ নামক কিতাবে আউলিয়ায়ে কেরাম ও সুফিয়ানে এজামের বর্ণিত ফাজায়েল সম্পর্কে যা লিখেছেন নিম্নে তা প্রদত্ত হল।

১) যে ব্যক্তি না’লাইন শরীফের নকশাকে তাবারুক হিসেবে নিজের কাছে রাখবে, সে জালিমের জুলুম হতে শয়তানের কুপ্রভাব হতে, হিংসুকের খারাপ দৃষ্টি হতে নিরাপদ থাকবে।

২) গর্ভবতী নারী প্রসব বেদনার সময় এ নকশা মোবারক ডান হাতে রাখলে আল্লাহর রহমতে তার কষ্ট সহজে কেটে যাবে।

৩) এ নকশা মোবারক যার কাছে সর্বদা রাখবে, সে ব্যক্তি সমাজে সর্বজন শ্রদ্ধেয় থাকবে। তার স্বপ্নযোগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার জিয়ারত নসিব হবে অথবা রওজা শরীফ জিয়ারত করার সৌভাগ্য লাভ করবে।

৪) যে লস্কর বা সৈন্যবাহিনীতে এ মোবারক নকশা সাথে থাকবে আল্লাহর ফজল ও করমে তারা পরাজিত হবে না। যে কাফেলায় এ নকশা মোবারকটি থাকবে সে কাফেলা কখনো লুণ্ঠিত ও বিপদগ্রস্ত হবে না এবং সহীহ সালামতে থাকবে।

৫) যে জাহাজে বা নৌকায় এ নকশা মোবারক থাকবে সে জাহাজ বা নৌকা কখনও ডুবে যাবে না।

৬) যে বস্তু বা সম্পদের মধ্যে এ নকশা মোবারক খানা থাকবে, সে বস্তু বা সম্পদ চোর বা ডাকাতের হামলা হতে নিরাপদ থাকবে।

৭) যে কোন হাজত বা প্রয়োজনে এ মোবারক নকশাটিকে উসিলা হিসেবে গ্রহণ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা সে মকসুদ অবশ্যই পূর্ণ করবেন। (ফাতাওয়ায়ে রেজভীয়া ১০ম খণ্ড ১১৮ পৃষ্ঠা)

না’লাইন শরীফের নকশার উসিলা এভাবে গ্রহণ করবেন। এ নকশা মোবারক আদব সহকারে আপন মাথার উপর রাখবেন এবং অনুনয় সহকারে আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন, হে আল্লাহ! যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জুতা মোবারকের আকৃতি মাথায় নিয়েছি আমি তাঁর নগণ্য একজন গোলাম। হে আল্লাহ! এ গোলামীর সম্পর্কের দিকে কৃপাদৃষ্টি করে পবিত্র জুতা মোবারকের নকশা এর বরকতে আমার অমুক উদ্দেশ্য পূর্ণ করুন।

অতঃপর জুতা মোবারকের নকশাখানা মাথা থেকে নামিয়ে স্বীয় চেহারায় মালিশ করবেন এবং ইহাকে অধিকভাবে চুম্বন দিবেন। ইনশায়াল্লাহ নেক মকসুদ হাসিল হবে।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নবীজি সাঃ এর জুতার নকশা সম্ভলিত কোনো ফযিলতের কথা ইসলামের প্রাথমিক যুগে শুনা যায় না।সুতরাং বলা যায় যে, নকশা সম্ভলিত কোনো ফযিলত কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাই নকশা ব্যবহার না করে বরং কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী নবীজি সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ করা প্রত্যেক মুসলামের দায়িত্ব।

রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন:
“যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে,আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন।”[মুসলিম, ২১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪০৮]

৮. 
রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন: “কিয়ামতের দিন আঁমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে,যে দুনিয়ায় আঁমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়েছে।”[তিরমিযী, ২য় খন্ড,২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪]

৯. 
রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি আঁমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পড়ে,আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন এবং তার আমল নামায় দশটি নেকী লিখে দেন।”[তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪]

১০. 
হুজুর সাঃ  ﷺ ইরশাদ করেন: “মুসলমান যতক্ষণ পর্যন্ত আঁমার উপর দরূদে পাক পড়তে থাকে,ফিরিশতারা তার উপর রহমতরাজি নাযিল করতে থাকে, এখন বান্দার মর্জি সে কম পড়ুক– কিংবা বেশি।”[ইবনে মাজাহ,১ম খন্ড, ৪৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯০৭]


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন করা হয়েছে।
by (16 points)
reshown by
যারা এগুলো বিশ্বাস করে এবং এটাও বিশ্বাস করে যে আমাদের যা কিছু রাসূল ﷺ এর দেওয়া। আমরা তার গোলাম। তাদের অবস্থান কি? তারা কি ইসলাম থেকে বাইরে?
তাদের সাথে আমাদের কেমন ব্যাবহার করা উচিত?
by (583,410 points)
 তাদেরকে হেকমতের সাথে দাওয়াত দিবেন।
by (583,410 points)
তাদের কে দ্বীনি কিতাবাদি হাদিয়া দিবেন। তাদের সাথে ঝগড়ামূলক কোনো আলোচনায় লিপ্ত হবেন না।তাদেরকে হেদায়তে নিয়ে আসবেন,সেই আশায় তাদের সাথে সম্পর্ক রাখবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...