ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নবীজি সাঃ এর জুতার নকশা সম্ভলিত কোনো ফযিলতের কথা ইসলামের প্রাথমিক যুগে শুনা যায় না।সুতরাং বলা যায় যে, নকশা সম্ভলিত কোনো ফযিলত কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাই নকশা ব্যবহার না করে বরং কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী নবীজি সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ করা প্রত্যেক মুসলামের দায়িত্ব।
রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন:
“যে (ব্যক্তি) আঁমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে,আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন।”[মুসলিম, ২১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪০৮]
৮.
রাসূল ﷺ ইরশাদ করেন: “কিয়ামতের দিন আঁমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে,যে দুনিয়ায় আঁমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়েছে।”[তিরমিযী, ২য় খন্ড,২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪]
৯.
রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি আঁমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পড়ে,আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন এবং তার আমল নামায় দশটি নেকী লিখে দেন।”[তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪]
১০.
হুজুর সাঃ ﷺ ইরশাদ করেন: “মুসলমান যতক্ষণ পর্যন্ত আঁমার উপর দরূদে পাক পড়তে থাকে,ফিরিশতারা তার উপর রহমতরাজি নাযিল করতে থাকে, এখন বান্দার মর্জি সে কম পড়ুক– কিংবা বেশি।”[ইবনে মাজাহ,১ম খন্ড, ৪৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯০৭]