আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in পবিত্রতা (Purity) by (100 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১।যদি কাপড়ে সাদাস্রাব লেগে যায় তাহলে কাপড় পাল্টে নামায আদায় করতে হয়। কিন্ত  ওযুর হালত আছে এমতাবস্থায়  ঐ কাপড় ( যেটাতে সাদাস্রাব লেগে গেছে) পরিধান করে কুরআন এর মুসহাফ স্পর্শ  করা যাবে?

২।সাদাস্রাব লেগে যাওয়া কাপড় পরিধান অবস্থায় সালাত ব্যতীত আর কোনো ইবাদাত করা কি নিষেধ আছে?

৩।অযু করার পূর্বে কি সাদাস্রাব লেগে যাওয়া কাপড় বদলানো জরুরি নাকি ওযুর পদে চেঞ্জ করলেও হবে?

1 Answer

0 votes
by (63,200 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

নামাজ সহীহ হওয়ার জন্য শরীর, কাপড় ও নামাজের জায়গা পাক হওয়া শর্ত।

শরীর পাক হওয়া:

এ জন্য অজুর দরকার হলে অজু বা তায়াম্মুম করতে হবে, গোসলের প্রয়োজন হলে গোসল বা তায়াম্মুম করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কুরআনে আল্লাহ বলেন,

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغْسِلُوا۟ وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى ٱلْمَرَافِقِ وَٱمْسَحُوا۟ بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى ٱلْكَعْبَيْنِ ۚ

‘‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত করমাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা ধৌত কর’’ সূরা মায়েদা- ৬ 

 

কাপড় পাক হওয়া:

পরনের জামা, পায়জামা, লুঙ্গি, টুপি, শাড়ি- ইত্যাদি পাক পবিত্র হওয়া। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ  আর তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র কর। সূরা মুদ্দাসসির- ৪

 

সালাতের স্থান পাক হওয়া:

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন,

إِنَّ هَذِهِ الْمَسَاجِدَ لَا تَصْلُحُ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا الْبَوْلِ، وَلَا الْقَذَرِ

“নিশ্চয় মসজিদ গুলোতে পেশাব-পায়খানা করা কোনো ক্রমেই সঙ্গত নয়।” সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪২৯

 

নাজাসাতে গালীযার হুকুম:

গালীজা নাপাক যেমন পেশাব যতটুকুই লাগুক না কেন; যেখানে নাপাক লাগছে কাপড়ের উক্ত অংশটি নাপাক হয়ে যাবে।

 

তবে এর দ্বারা নামায পড়া শুদ্ধ হওয়ার জন্য মূলনীতি:

তরল নাপাকীর ক্ষেত্রে নাজাসাতে গলীযা যদি কাপড়ে বা শরীরে লাগে এবং তা তরল হয় (যেমন, প্রস্রাব) তাহলে সেক্ষেত্রে তা যদি দিরহামের আয়তন (অর্থাৎ হাতের তালুর গভীরতা সমপরিমাণ) এর কম হয়

অথবা

নাপাকি শক্ত হলে যদি দিরহামের ওজন (বর্তমান মেট্রিক হিসাবে যা ৩.০১৬৮ গ্রাম)-এর চেয়ে কম হয় তাহলে তা না ধুয়ে নামায পড়লে নামায সহীহ হয়ে যাবে। তবে এ পরিমাণ অল্প নাপাকিও ধুয়ে নেওয়া ভালো। তাই সাধারণ অবস্থায় এ পরিমাণ নাপাকি নিয়ে নামায পড়া অনুত্তম।

আর যদি নাপাকি দিরহামের সমপরিমাণ হয় তাহলে তা ধুয়ে ফেলা ওয়াজিব। এ অবস্থায় নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। তাই কেউ এ অবস্থায় নামায পড়লে সে নামায পুনরায় পড়ে নেওয়া ওয়াজিব হবে।

قال صلى الله عليه و سلم : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে র্বণতি, রাসূল সাঃ ইরশাদ করছেনে-এক দরিহাম পরণিাম রক্তরে দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। সুনানে বায়হাকী ৩৮৯৬

হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরমিাণ- নর্দিষ্টি করছেনে এক দরিহাম। আর আব্দুল্লাহ বনি ওমর রাঃ নির্ধারণ করছেনে নখ পরমিাণ। উমদাতুল কারী-৩/১৪০

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নাপাক কাপড় পরিধান করে কুরআনের মুসহাফ স্পর্শ  করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। আবার এই অবস্থায় তেলাওয়াতও করা যাবে। তবে গোসল ফরজ হলে বা হায়েজ অবস্থায় থাকলে কুরআনের মুসহাফ স্পর্শ  করা যাবে না এবং তেলাওয়াতও করা যাবে না।

২. নাপাক কাপড় পরিধান করে শুধু নামাজ পড়াই নিষেধ। তা ছাড়া নাপাক কাপড় পরিধান করে দুআ, যিকর ও কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে। তবে পাক পবিত্র কাপড় পরিধান করেই তেলাওয়াত করা উত্তম।

৩. ওজু করার পরেও পরিবর্তন করলে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...