বিসমিহি তা'আলা
সমাধানঃ-
আদিকাল থেকেই মানষ পরিশ্রম করে রোজগার করছে।আয়-রোজগার করে দিনাতিপাথ করছে।আপনি আয়-রোজগার করবেন,চায় ব্যবসার মাধ্যমে হোক অথবা পরিশ্রমের মাধ্যমে হোক।
এটাই স্বাভাবিক।
এক হাদীসে পরিশ্রম করে রোজগার করা সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ-
হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দিকারুবা রাঃ থেকে বর্ণিত
عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ
- رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - " «مَا أَكَلَ أَحَدٌ طَعَامًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ أَنْ يَأْكُلَ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ، وَإِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ دَاوُدَ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - كَانَ يَأْكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدَيْهِ» "
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেনঃনিজ হাতের উপার্জন থেকে উত্তম খাদ্য কেউ কখনো আহার করেনি।এবং আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন থেকেই আহার করতেন।
মিশকাত২৭৫৯,
সহীহ বুখারী: (১৯৬৬/২০৭২)
অনলাইনে দেশী-বিদেশী যে কোনো কম্পানি বা ক্লায়েন্টের সাথে পারিশ্রমিক নির্ধারণ পূর্বক আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে কোন হারাম কাজ হতে পারবেনা।
যেমন সুদী কম্পানি বা মদ,জোয়া ইত্যাদি সম্পর্কিত কম্পানি বা ছবি আকার কাজ হতে পারবেনা।
বিশেষ করে ছবির দিকটি লক্ষ্যণীয়,যে কোনো কিছুতেই এখন ছবি হিরিক পড়েছে।
এই ছবি আকার কাজ সহ নানাবিধ হারাম কাজ আপনি করতে পারবেন না।
ছবি সম্পর্কে হাদীস শরীফে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে,যেমনঃ-
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)
সহীহ বুখারী -৫৬১৮
ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।
সহীহ বুখারী- ২২২৫।
লেনদেন বৈধ হওয়ার জন্য শর্ত হল,
মূল্য /বা পারিশ্রমিক নির্ধারণ হওয়া।
কাজ করার পর যদি কম্পানি বা ক্লায়েন্ট আপনাকে পারিশ্রমিক দেয় না।তাহলে সে গুনাহগার হবে, এতে আপনার কিছু যায় আসে না। বরং জায়েয কাজ হলে আখেরাতে আপনি আপনার পূর্ণ হক্ব পাবেন।
সুতরাং হারাম কাজ থেকে বেছে থাকা এবং পারিশ্রমিক নির্ধারণী হওয়ার শর্তে ফ্রীল্যান্সিং পেশা জায়েয আছে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
আপনি একজন মহিলা হিসেবে অনলাইনে নিজেকে আড়াল রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।পর্দাড় আড়াল থেকে যে কোনো রকম হালাল ব্যবসা করতে পারবেন।
উম্মুল মু'মিনিন হযরত যয়নব রাযি, চামড়া দেবাগতের তথা ট্যানারির ব্যবসা করতেন।
যদি মহিলাদের পর্দার পোষাকের ব্যবসা করেন তাহলে তো সেটা কতই না উত্তম।নিয়্যাত বিশুদ্ধ থাকলে তথা ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে ব্যবসা পরিচালনা করলে অতিরিক্ত সওয়াবের আশাও করতে পারেন।
পর্দার পোষাক ব্যতীত অন্যান্য সকল রকম বৈধ পোষাক বিক্রি করতে পারবেন।
লাভ টা পার্সেন্টিস আকারে নির্দিষ্ট করে নিবেন।
আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে নিয়োজিত থাকার তাওফিক দান করুক।আমীন।