আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ...


উস্তায আমার প্রশ্নটা এই যে, আমার পূর্ববর্তী জীবনে একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল যা অবশ্যই গুনাহের কাজ, (আল্লাহ আমাকে মাফ করুন।) কিন্তু আল্লাহ আমাকে হিদায়াত দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ এবং সেই হারাম থেকে বের হওয়ার ও তাওফিক দিয়েছেন,সে ও প্রায় ৪ বছর আগের কথা।সেই সময় সেই ছেলেটি আমাকে একটি শাড়ি উপহার দিয়েছিলো, সেটা এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না,কাপড়টা পাতলা,ঘরে পরার উপযুক্ত, আমার আশেপাশে যারা আছেন দেয়ার মতো তারা পর্দা করেন না,তারা আমার দেয়া এই পাতলা কাপড় পরে বাইরে গেলে আমার ও গুনাহ হবে,আবার শুধু শুধু তুলে রাখতেও চাইছি না, অপচয় পছন্দ করি না তাই নষ্ট করে ফেলতেও পারিনি। এখন যদি আমার মনে ফিতনার আশংকা না থাকে তবে কি আমি শাড়িটি ব্যবহার করতে পারবো?


বিঃদ্রঃ যদি এই শাড়িটি ব্যবহার করা আমার জন্য নাজায়েজ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই করবো না।
closed

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদিয়াকে যখন কেউ গ্রহণ করে নেবে তখন সেটার সম্পূর্ণ মালিক ঐ ব্যক্তি হয়ে যাবে, যে ঐ হাদিয়াকে গ্রহণ করে নিবে।
ولا يملك المهدى إليه الهدية إلا بالقبض بإذن المهدي أو وارثه عند موته قبل القبض
হাদিয়া যার নিকট প্রেরণ করা হচ্ছে,সে ব্যক্তি যতক্ষণ না প্রেরক বা প্রেরকের ওয়ারিছদের অনুমতিতে গ্রহণ/কবজা না করছে,ততক্ষণ সে উক্ত জিনিষের মালিক হবে না।(আল-মাওসুাতুল ফেকহিয়্যাহ-৪২/২৫৬)
সুতরাং যখন হাদিয়া গ্রহণের পর গ্রহণকারী এই জিনিষের সম্পূর্ণ মালিক বনে যায়,তাই সে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে এটাকে ব্যবহার করতে পারবে।চাইলে কাউকে হাদিয়াও দিতে পারবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/
8234

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম উদ্দেশ্যে কেউ কাউকে হাদিয়া দিলে,সেই হাদিয়া অবশ্যই হারাম বলে পরিগণিত হবে।তবে প্রেরক যেহেতু অন্তরের সন্তুষ্টিতে এ সমস্ত হাদিয়া দিয়েছেন,তাই প্রাপক কবজা করে নিলে প্রাপক অবশ্যই সেটার মালিক বনে যাবে।সে হিসেবে বলা যায় যে,যদিও শাড়ীকে ফেরৎ দেয়া মেয়ের উপর ওয়াজিব নয়,তবে মেয়ের জন্য তাকওয়ার দাবী হল,উক্ত জিনিষকে ফিরিয়ে দেয়া। সম্ভব না হলে, বিক্রি করে দেয়া,অথবা এমন কাউকে দিয়ে দেয়া,যে চার দেয়ালের ভিতরেই পরিধান করবে। কেননা এটা কাছে থাকলে ঐ হারাম সম্পর্কের কথা বারবার মনে উকি দিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...