আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
271 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আস্সালামুআলাইকুম. আমার কাবিন নামায় আমাকে তালাক দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে ২ টা শর্তে। আমি আর স্বামীকে একদিন মেসেজে বলেছি যে কাবিন নামার ১৮ নং কলামটার ছবি  দাও। তো আমার স্বামী আমাকে মেসেজে জিজ্ঞেস করেছে কেনো? আমি। লিখেছি একটা জিনিস আছে, স্বামী জিজ্ঞেস করেছে কি আছে,তো আমি ভেবেছি হয়তো সে জানে তাই আর তাকে বলিনি। কাবিন নামাতে দেখা গেলো যে আমাকে অনুমতি দেওয়া আছে। তো আমি স্বামীকে মেসেজ লিখলাম তুমি কেনো অনুমতি দিয়েছো?? সে আমাকে উত্তর লিখেছে এটা কে দিসে, আমি কিন্তু এই ব্যাপারে জানিনা,এটা তারাই লিখে আনসে,আমিতো কিছু দেখিওনাই,জাস্ট খাতায় সাইন দিসি মাত্র।

১. আমি একজন মুফতিকে জিজ্ঞেস করার পর উনি বলেছে স্বামী কাবিন নামায় শাক্ষর  করার মাধ্যমে কাজীর কথার সাথে একমত প্রকাশ করে। তাই আপনি অধিকার পেয়েছেন।

২. আরেকজন মুফতি বলেছেন স্বামী যদি জীবনে কোনোদিনও এই বেপারে না জেনে থাকে যে কাবিন নামার ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দেওয়া যায় কিংবা যায়না তাহলে কাজী স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস না করে  যদি লিখে যে অধিকার দিয়েছে এটা বাতিল হবে স্ত্রী অধিকার পাবেনা বলে গণ্য হবে। আর যদি স্বামী আগেই জানতো যে স্ত্রীকে অধিকার দেওয়া যায় কিংবা যায়না এবং কাবিন নামায় স্বাক্ষর দিয়েছে তাহলে  স্বামী অনুমোতি দিয়েছে বলে গণ্য হবে। আমাদের প্রেমের বিয়ে আমার যতটুকু মনে পরে আমি তাকে এই ব্যাপারে বলেছি কিন্তু স্বামী বলছে সে কোনোদিনই এই ব্যাপারে শুনেনি শুনলে তো তার মনে পড়তো।

৩. আরেকজন বলেছে যদি কাজী স্বামীকে জিজ্ঞেস না করেই কাবিন নামায় হ্যা লিখে দেয় সেটা বাতিল হবে স্বামী এই ক্ষেত্রে অধিকার  দেয়নি বলে গণ্য হবে.

৪. অনলাইনেও একজন মুফতির ফতোয়া দেখেছি কাজী জিজ্ঞেস না করেই হ্যা লিখলে সেটা বাতিল।এই ক্ষেত্রে মহিলা অধিকার পায়নি বলে গণ্য হবে
এখন আমি কোনটা ধরে নিবো?

আমার শাশুড়ি  একদিন বলেছিলো একটা কথার কথা কাবিনের টাকা দিয়ে দেই জাওগা দেখি। তখন আমার স্বামীকে আমি। মেসেজ দিয়ে জিজ্ঞেস করি  যে তুমি কি আমাকে কাবিনের টাকা দিয়ে বিদায় করে দিবা সে তখন খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছে আমাকে আদর করে কথা বলেছে। আমি তাও আবার একই প্রশ্ন করি যে বলোনা তুমি কি আমাকে কাবিনের টাকা দেশ বিদায় করে দিবা? তখন স্বামী লিখেছে দিলে কি তুমি চলে যাবা? তখন আমি লিখেছি তো আর কি করবো (আমার কিন্তু তলাকের নিয়ত ছিলোনা বা চলে যাওয়ার নিয়তও ছিলোনা কষ্ট পেয়ে বলেছি)তখন স্বামী লিখেছে তো চলে যাও আমি ঝামেলা চাইনা কিংবা আমি ঝামেলার মানুষ চাইনা। পরে আমি স্বামীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কি অন্যকিছুর নিয়তে বলেছো কিংবা বলেছিলাম তালাকের নিয়তে বলেছো  আমার স্বামী বলেছে না আমি এসব কোনো নিয়ত করে বলিনি এসব ইনটেনশ  আমার ছিলোনা।

৫। আমার কি এটা তালাক হয়ে গেছে?আমি কিন্তু আমার স্বামীর কাছে তালাক চাইনি টাকার খুব কষ্ট পেয়ে জিজ্ঞেস করেছি যে সে কি আমাকে টাকা দিয়ে বিদায় করে দিবে কিনা

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১+২+৩+৪)
এই সবগুলো প্রশ্ন একটি বিষয়কে নিয়েই।তাই একসাথেই উত্তর দিচ্ছি।
আপনি ইতিপূর্বে চারজনকে জিজ্ঞাসা করেছেন।এতজনকে জিজ্ঞাসা করার কি প্রয়োজন!! ভালো মানের নির্ভর্যোগ্য কোনো একজনকে জিজ্ঞাসা করে নিলেই হতো। তাছাড়া এভাবে অন্যসব কামকাজ পরিহার করে সঠিক মুফতি বাছাই না করে যারতার কাছে জিজ্ঞাসা করাটাও মুনাসিব হবে না। আপনি যে কোনো একটি কওমী মাদরাসার দারুল ইফতায় সরাসরি গিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন।এটাই আপনার জন্য কল্যাণকর হবে।

যাইহোক,
আপনি সন্তুষজনক উত্তর না পেলে,আর অনলাইনে কাউকে জিজ্ঞাসা করবেন না।বরং সরাসরি কোনো দারুল ইফতায় চলে যাবেন।

(আপনার প্রশ্নের উত্তর,মনযোগ সহকারে পড়বেন)
যেহেতু স্বামী তালাকের অধিকার দেয়নি, শুধুমাত্র স্বাক্ষরের কারণে স্ত্রী দিয়ানাতান তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।

كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ-
স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।

★আপনার শাশুড়ি বলেছেন,কাবিনের টাকা নেয়ার কথা,এদ্বারা কেনায়া তালাক হবে না।

(৫)
এভাবে তালাক হবে না।  হ্যা স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের নিয়তে বলে যে, তুমি কাবিনের টাকা গ্রহণ করে বাবার বাড়ি চলে যাও, তাহলে এদ্বারা কেনায়া তালাক পতিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...