আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
230 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
edited by

https://www.ifatwa.info/52249/ এটা আগের দিনের প্রশ্নের লিংক।

শায়খ আমি এখানে উল্লেখ করেছি যে আমার স্বামী বলছে,,তিনি বলেছেন যে তিনি মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম এটা বললেনি তিনি নাকি বলছেন মনে করো যদি কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়।কিন্তু আমি তখন ঐ বাক্যটাই শুনেছিলাম যে মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম।আর এজন্যই তাকে আমি আমার শোনা কথা অনুযায়ী তাকে বার বার জিজ্ঞেস করি যে আপনি কোন উদ্দেশ্যে বলছেন তখন সে রাগে বলছে এখানে যে কেনো ২ টা উদ্দেশ্য হতে পারে হয় তোমাকে মাসয়ালা শিক্ষা দেওয়ার জন্য নয়তো তোমাকে স্ত্রী হিসেবে ত্যাগ করার জন্য।এর আগেও সে বলছে আমার শোনা কথার উপর ভিত্তি করে এটা একটা উদাহরণের মতো।কিন্তু সে পরবর্তী তে আবার বলছে যে সে ঐ বাক্যটা ঐভাবে বলেনি আমি যেভাবে শুনেছি মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম ।এ বিষয় টা নিয়ে আগে আমাদের মাঝে অনেক ঝামেলা হয়েছে বাড়াবাড়িও হয়েছে।এখন তাকে কিভাবে জিজ্ঞেস করবো তার মনে আছে কিনা জানিনা প্রায় ৮ মাস হতে যাচ্ছে উক্ত ঘটনার। তাকে মনে কর বলেছিলো কিনা এটা আগে বা এখন কখনো জিজ্ঞেস করিনি কারণ মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম এখানে মনে কর কথাটা নিয়ে আমার আগে কখনো সন্দেহ হয়নি যে এধরণের কোনো শব্দ বলে নিয়েছিলো কিনা।তাছাড়া সে আগেই ঐ ঘটনার পরের দিনই বলছে যে সে ঐ ভাবে বলেনি বলেইনি যেটা আগে উল্লেখ করেছি।কিন্তু আমিতো ওরকম কিছুই শুনেছিলাম আর তখন তো সন্দেহ মনে করো বলা নিয়ে সন্দেহ হয়নি তাই আমি তাকে এটা নিয়ে জিজ্ঞেস করিনি।আর এখন আমারই সন্দেহ হচ্ছে।

শায়খ এখানের সব বিবরন ও আগের দিনের করা প্রশ্নটা আবার একটু পড়ে নিচের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিবেন-

১.শায়খ আমার স্বামীকে সন্দেহের কারণে এবাক্যের ব্যাপারে এখন জিজ্ঞেস করবো??ঠিক হবে কি??

স্বামীর যোকোনো ২ উদ্দেশ্য হতে পারে উল্লেখ করার কারণে কি উক্ত কথাটা(মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম) সে বলেছে বলে স্বীকারোক্তি ধরা হবে??

২.শায়খ আমি প্রথমে ঘটনাটা ঘটার পরের দিন ৬/৭ মাস আগে মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম এই বাক্যটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি আর সেও বিবরণে উল্লেখিত উত্তর দেয় ২ টা উদ্দেশ্য নিয়ে।কারন তখন কোনো ধরনের সন্দেহ ছিলো না মনে কর কথাটা নিয়ে ও শায়েখদের কাছে জিজ্ঞেস করেও ফয়সালা পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন সন্দেহ হচ্ছে যে মনে করো কথাটা বলেছে কিনা স্বামী।আপনাকে আগের দিন করা প্রশ্ন এবং এখন যে বিবরণ দিয়েছি সব কথা অনুযায়ী কি তালাক হবে??তাও এখন সন্দেহ  হওয়ায় তালাক ধরে নিব কি??

৩."মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম।তারপর বলে  এরপরের মাসে যদি* সে এতটুকু বলার পর তখন আমি বলে উঠেছিলাম *কেউ যদি তার স্ত্রীকে না দেয় তখন সেও বলেছিলো যদি কেউ না দেয়।এবং বলেছিলো এরপরের মাসেও যদি না দেয় অর্থাৎ তালাক না দেয়। তাহলে এমনিতে তালাক হয়ে যাবে" এখানে মনে কর কথাটা বাদ গেলে বাকি কথাগুলোর কারণে কয় তালাক হবে??

৪.এখানে একটা লাইন আমি ভুলে এভাবে লিখেছিলাম আগে কোনো সন্দেহ ছিলো মনে কর কথাটা নিয়ে কিন্তু হবে কোনো সন্দেহ ছিলোনা।কিছুক্ষণ পর দেখি যে না কথাটা লেখা হয়নি কিন্তু মনে মনে না লিখবো বলে ভেবেছিলাম কিন্তু না টা বেখেয়ালে বাদ পড়ে গেছে।তাও এতে কি আগে কোনো ধরনের সন্দেহ ছিলো এই কথারই স্বীকারোক্তি ধরা হবে?? নাকি সন্দেহ চিলো না এটার??ভুলে না টা বাদ পরছে।

৫.স্বামী যদি বলে কোনো একটা বিষয় নিয়ে যে এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায় কিনা।ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় কিনা মনে হয় আমার এতে কি উক্ত মজলিস তালাকের মজলিস হয়ে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (574,200 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/44865/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★শরীয়তের বিধান হলো,তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানতে উক্ত লিংকে ক্লিক করুন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,
আপনার স্বামী আপনাকে বলেছেঃ-
"মনে করো যদি কেউ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়""

প্রশ্নে আপনি আরো উল্লেখ করেছেনঃ-
কিন্তু আমি তখন ঐ বাক্যটাই শুনেছিলাম যে মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম।আর এজন্যই তাকে আমি আমার শোনা কথা অনুযায়ী তাকে বার বার জিজ্ঞেস করি যে আপনি কোন উদ্দেশ্যে বলছেন তখন সে রাগে বলছে এখানে যে কেনো ২ টা উদ্দেশ্য হতে পারে হয় তোমাকে মাসয়ালা শিক্ষা দেওয়ার জন্য নয়তো তোমাকে স্ত্রী হিসেবে ত্যাগ করার জন্য।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

তাকে আর এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা না করাই উচিত হবে।

২য় বিষয়টি তালাকের স্বীকারোক্তি বলে গন্য করা হবেনা।

(০২)
এখানে যেহেতু তালাক হয়নি,তাই তালাক ধরে নিতে হবেনা।

(০৩)
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ
”তোমাকে তালাক দিলাম।তারপর বলে এরপরের  মাসেও যদি তালাক না দেই,তাহলে এমনিতে (আবারো) তালাক হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে এখন এক তালাক হবে,পরের মাসে ২য় তালাক হবে।
মোট ২ তালাক হবে।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে আপনার জন্য সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এখানে স্বামী তালাকের ধমকি দিলে বা স্ত্রী তালাক চাইলে তালাকের মজলিস হবে।
নতুবা প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তালাকের মজলিস হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (55 points)
১ নং প্রশ্নে শায়ক এখানে তালাকের স্বীকারোক্তি হবে কিনা সেটা জানতে চাইনি বলেছি যে ঐ বাক্যটা(মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম) বলেছে বলে স্বীকারোক্তি দেওয়া হবে??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...