জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)
আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।
সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।
★তাই স্ত্রীর দুধ চোষা জায়েজ আছে,কিন্তু দুধ পান করা হারাম।
যদি মুখের মধ্যে দুধ চলে আসে,তাহলে থু থু দিয়ে ফেলে দিবে।
তাই দুধ আসার প্রবল সম্ভাবনা থাকলে দুধ না চোষা উচিত।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 225):
"مص رجل ثدي زوجته لم تحرم.
(قوله: مص رجل) قيد به احترازاً عما إذا كان الزوج صغيراً في مدة الرضاع فإنها تحرم عليه".
সারমর্মঃ
স্ত্রীর স্তন চোষা হারাম নয়।
তবে যদি স্বামীর বয়স দুধ পানের বয়স হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত দুধ পানের বয়সে সে যদি তার স্ত্রীর দুধ পান করে,তাহলে হারাম হবে।