বিসমিহি তা'আলা
সমাধানঃ-
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই, আমরা আপনাকে বুঝে বুঝে বেশি পরিমাণে কুরআন তেলাওয়াত করার পরামর্শ দিচ্ছি। কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আপনার অন্তরে যা কিছুর উদ্ভব ঘটে সেগুলো দূর হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা নিরাময়কারী এবং মুমিনের জন্য রহমত।”[সূরা ইসরা, আয়াত: ৮২]
অনুরূপভাবে আমরা আপনাকে বুঝে বুঝে নবীদের কাহিনী পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের অন্তরকে প্রশান্ত করার জন্য আল্লাহ তাআলা কুরআনে নবীদের কাহিনীগুলো উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর আমি রসূলগণের সব বৃত্তান্তই আপনাকে বলছি, যদ্দ্বারা আপনার অন্তরকে মজবুত করছি। আর এভাবে আপনার নিকট মহাসত্য এবং ঈমানদারদের জন্য ওয়াজ ও স্মরণিকা এসেছে।”[সূরা হুদ, আয়াত: ১২০]
এছাড়া আমরা আপনাকে আল্লাহ তা'আলা সম্পর্কে, উনার আসমায়ে হুসনা মাহাত্ম্য সম্পর্কে এবং আল্লাহর বিশেষন তথা বিভিন্ন ক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞানাহরণে পরামর্শ দিচ্ছি।
ইলম অন্বেষণের পরামর্শ দিচ্ছি, কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﺨْﺸَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﺰِﻳﺰٌ ﻏَﻔُﻮﺭٌ
আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাঁকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাময়।
সূরা ফাতির-২৮
আল্লাহর সৃষ্টজীব নিয়ে চিন্তাভাবনার পরামর্শ দিচ্ছি।কিভাবে আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বিভিন্ন প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করলেন।
বিশেষভাবে আল্লাহ ওয়ালাদের মজলিসে উপস্থিত হওয়া এবং
সত্যবাদীদের সঙ্গী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
বেশী বেশী করে আল্লাহর যিকির করা ও নফল ইবাদত এবং এর উপর অটল থাকা, সর্বোপরি আল্লাহর কাছে দু'আ করার পরামর্শ দিচ্ছি।
আল্লাহ সবার সহায় হোক।
পরামর্শ প্রদাণে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ,Iom