আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
edited by
১.হুজুর কাউকে যদি আমার সালাম দিতে লজ্জা লাগে লোকটি যদি রাস্তা দিয়ে আসে তখন যদি আমি  মুখ এক্টু ভেংচি কেটে বা মুখ বাকা করে মনে মনে ভাবি যে সামনা সামনি কেন দেখা হয় বা এখন তো সালাম দিতে হবে। কিন্তু আমি পরবর্তীতে সালাম দেই। হুজুর ওভাবে মনে হওয়ার কারনে মুখ অইরকম করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। এটা কি সুন্নাতকে অবমাননা।
২.হুজুর আজকে খুব বাতাস করতেছিল আমার স্ত্রী কাপড় শুকাতে দিচ্ছিল। তখন বাতাসের কারণে   কাপড়গুলোকে ভালোভাবে মেলে দিতে পারতেছিলনা। তখন    আমার স্ত্রী বলে যে-  হছে থাম  (হয়েছে থাম)  । হুজুর আমার স্ত্রী  ভুল বুঝতে পেরে ইস্তিগফার পড়েছে। হুজুর বাতাসের কারনে এভাবে বলার দারা কি তার ঈমানের  কোন সমস্যা হবে?

৩.হুজুর আমাদের এলাকায় আমরা খারাপ কোন কাজ দেখলে বা কারো সম্নধে খারাপ কোন কথা শুনলে অনেকই বলে যে -    ওরে আল্লাহ ওরে খোদায়। হুজুর এই কথা কি বলা যাবে? এই কথা বলার দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৪.হুজুর আজকে আমি জোহরের নামাজ পরতে যেয়ে দেখি যে সুন্নাত পরার সময় নেই। তখন    আমি ইমামের সাথে ফরজ নামাজ পড়ি। ফরজ নামাজ পরার পর আমার নামাজ হল নাকি এই সন্দেহ হয়। তখন আমি বাড়িতে এসে নামাজ পরার কথা ভাবি এবং বাড়িতে এসে গোসল করে অজু করে জোহরের নামাজ পরার সময় আমার মনে হয় যে, আমি কি জোহরের আগের  চার রাকাত সুন্নাত পরব। নাকি যেহেতু আমি মসজিদে সুন্নত পাইনি ফরজ পরেছি। কিন্তু সন্দেহের কারনে বাড়িতে পরতেছি। তাই বাড়িতেে জোহরের ফরজ নামাজের  আগে চার রাকাত সুুুন্ন্ত নামাজ পরলে কোন সমস্যা হবে না কি যেহেতুু আমি মসজিদে সুন্নত নামাজ পাইনিি।তাই আমি জোহরের ফরজ নামাজ পড়েছি। তারপর দুুই রাকাাত সুন্নত নামাজ পড়েছি। তারপর আমিি ইউটিউবে ভিডিও দ দেখি যে যোহরের আগের চার রাকাত সুন্নত সম্বন্ধে তার ফজিলত সম্বন্ধে না পড়লে গুনাহ হতে পাারে  বা ক্ষতি হবে। এজন্য হুুুজুর আমি তারপর জোহরের ফরজের আগেেে চার রাকাত নামাজ পড়ি। হুুুজুর এভাবে উল্টাপাল্টা ভাবে নামাজ পড়ার কারণে আমার ঈমানের কোন সমস্যা্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মুখ ঐ রকম করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। এটাকে সুন্নাত অবমাননা বলা যাবেনা।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، وَابْنُ السَّرْحِ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ بِيَدِيَ الأَمْرُ أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ " . 

মুহাম্মদ ইবন সাব্বাহ (রহঃ) ......... আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মহান আল্লাহ বলেনঃ বনী আদম সময়কে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয়। অথচ আমিই সময়, আমার নিয়ন্ত্রণে সব কিছুই; আমিই রাত-দিনকে (চক্রাকারে) আবর্তিত করি।

(বুখারী ৪৮২৬, মুসলিম ২২৪৬, আবূ দাঊদ ৫২৭৪, আহমাদ ৭২৪৫, সহীহাহ্ ৫৩১, সহীহ আল জামি‘ ৪৩৪৩,মিশকাতুল মাসাবিহ ২২)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রী তো বাতাসকে গালি দেননি,তাই এতে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৩)
এ ধরনের কথা বলার দরুন ঈমানের ক্ষতি হবেনা।
তবে মন্দ কাজে এহেন বাক্য না বলাই ভালো।

(০৪)
এভাবে নামাজ পড়ার দরুন আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
বিবাহের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু মসজিদে জোহরের নামাজ পড়েছিলেন,সেই হিসেবে উক্ত নামাজ বাসায় পুনরায় আদায় করার কোনো যৌক্তিকতা ছিলোনা।
এটি নফল হয়েছে।
,
আপনার জন্য শুধু জোহরের পরের দুই রাকাত সুন্নাত,আর জোহরের আগের চার রাকাত সুন্নাত পড়াই কাম্য ছিলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...