আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।ধরেন একটা মেয়ের স্বামীকে জেলে নিয়েছে মানে কোন মামলার কারনে।মেয়েটা এখনো বাবার বাসায় নামিয়ে নেয় নি।মেয়েটা যদি বলে আমি সবকিছুর বিনিময়ে আমার স্বামীকে চায়। কিন্তু মেয়েটা এটা ভালবেসে বলেছে,সে তার স্বামীকে খুব ভালবাসে।ওর স্বামী ওকে তালাকের পাওয়ার দিছে।কথাটা বলার পর থেকে ওর মনে তালাকের বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।ওর মনে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসে যে বিনিময়ে ওটা কেন বলেছে কেউ যদি বলে তুমার স্বামীকে আমি ছাড়িয়ে আনব তার বদলে তোমার স্বামীকে ছেড়ে দাও এমন বললে কি হবে? মেয়েটা কিন্তু এই নিয়তে বলে নি।কথাটা বলার সময় মাথায়  এত কিছু ছিল না।কথাটা বলার সময়,কি মনে মনে বলেছিল নাকি হালকা আওয়াজে বলেছিল তা মনে নেই ওর।যদি হালকা আওয়াজেও বলে সে এত কিছু ভেবে  বলে নি।ও চায় না স্বামীকে ছারতে,সে স্বামীকে খুব ভালবাসে।কথাগুলো বলার সময় পাশে কেউ ছিল না।সে মনে হয় এটা বুঝিয়েছে টাকা পয়সা সব কিছুর বিনিময়ে।কথাটা বলার সময়,এতকিছু মাথায় ছিল না।সে নিজে নিজে কথাগুলো বলতেছিল।কথাটা দ্বারা কি কোন সমস্যা বা শর্ত যুক্ত তালাকের কিছু বুঝাবে? বা কোন সমস্যা হবে পরে?

২।এটা এমনিতে জানার জন্য।এই ঘটনাটা হয় নি শুধু জানার জন্য।ধরেন মেয়েটার মা বাবা মেনে নেয় নি ।ধরেন মেয়েটা যদি  মা বাবাকে বলত আমার স্বামীকে ছাড়িয়ে এনে দেন,আপনারা যা করতে বলেন তা করব।এর পর মা বাবা যদি বলে তুমার স্বামীকে ছারিয়ে এনে দিব বা দিছি এবার তুমার স্বামীকে ছেড়ে দাও।কিন্তু মেয়েটা যদি না ছাড়ে তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কথাটা দ্বারা কোন সমস্যা হবেনা।
কোনো শর্ত যুক্ত তালাকের কিছু বুঝাবেনা।
বা কোন সমস্যা হবেনা।
এ কথার দরুন পরেও কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
যেহেতু স্ত্রী তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়নি,তাই
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...