ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
স্বামী তিন তালাকেরই মালিক থাকবে।
(০২)
মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার উত্তরে যদি স্বামী সাথে সাথেই কেনায়া বাক্য বলে,তাহলে বিশেষ কিছু কেনায়া বাক্যের ক্ষেত্রে তালাক হবে।
আর যদি অন্য প্রসঙ্গে কথা বলার পর কেনায়া বাক্য তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে,তাহলে তালাক হবেনা।
(০৩)
এখানে তালাক চাওয়ার পর সাথে সাথেই যদি স্বামী বলে যে "যাও মা বাবা যাকে দেয় তাকে কর গা বিয়ে"
তাহলে তালাক হয়ে যাবে।
(০৪)
শুধু জানার জন্য প্রশ্ন করে থাকলে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।
(০৫)
শরীয়তে ভুল ফতোয়া প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
অজ্ঞতাবশত ফতোয়ারও কোনো সুযোগ নেই।
,
কারন এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।
,
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে।
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .
আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪২।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক মাযহাবের উলামাদের মতবিরোধ হলে, যিনি হাওয়ালা (রেফারেন্স) সহ কথা বলবেন উনার কথাই মানবেন।সবাই হাওয়ালা বা রেফারেন্স দিলে তখন অধিকাংশ আলিম যে কথা বলবেন, সেই কথাকে মানবেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি সকল প্রশ্নেই হুবহু একই ভাবে প্রশ্ন লিখেন,কোনো তথ্য কম বেশি না করেন,তাহলে কোনো একজন মুফতী সাহেবের কথা রেফারেন্স সহ হলে সেটি মানবেন।
সকলের রেফারেন্স ছাড়া হলে আপনি অধিকাংশ মুফতী সাহেব (সর্বশেষ) যেটা বলেছেন,সেটা মানবেন।
আপনি যদি আসলেই সঠিক মাসয়ালা না জানেন,সেক্ষেত্রে সেই ফতোয়া ভুল হলেও (আপনার প্রশ্ন করায় কোনো তথ্য গোপন না থাকলে) উক্ত ফতোয়ার উপর আমল করলে আপনার গুনাহ হবেনা।
★শর্ত হলো,সকল প্রশ্নেই হুবহু একই ভাবে প্রশ্ন লিখতে হবে।
কোনো কমবেশি করা বা তথ্য গোপন করা যাবেনা।