আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)

আসাসালামু আলাইকুম মুহতারাম হুজুর। 

আমার একটা প্রশ্ন ছিল।

একটা বিষয় জানতে চাচ্ছি। নিচের লোগোটি কি হালাল না কি হারাম?

এই বিষয়টা জানতে চাই। আল্লাহ তায়ালা উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন। জাযাকাল্লাহু ওয়া আহসানাল জাযা।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ছবি শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,

عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )

তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫) 

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253

★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
https://ifatwa.info/13576/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
যদি ব্যবহারিক জিনিষে এত ছোট্ট পরিমাণ ফটো থাকে যে,উক্ত জিনিষ জমিনে থাকাবস্থায় দাড়িয়ে সেটার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দৃষ্টিগোচর হয় না,তাহলে এমন ফটো থাকার কারণে উক্ত জিনিষের ব্যবহার হারাম হবে না।হ্যা যিনি বানাবেন,তিনি অবশ্যই বড় আকৃতির ফটো বানানোর সমপর্যায়ের গোনাহগার হবেন।অথবা যদি ফটো মাথা কর্তিত থাকে বা এমন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কর্তিত অবস্থায় থাকে,যা না থাকার কারণে প্রাণী জীবিত থাকতে পারে না,অথবা কোথাও অসম্মানের সাথে ফটোকে রাখা হয়,তাহলে এজাতীয় ফটো সমূহের ব্যবহার অবৈধ হবে না।


যদি ছবি এত ছোট হয় যে,স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি দাড়ানো অবস্থায় জমিনে অবস্থিত ছবির অঙ্গ সমূহের পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না,তাহলে এমন ফটো/ছবি নাজায়েয হবে না।বরং এগুলো ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।যদিও এমন ছবি বানানো হারাম।ব্যবহার এজন্য অনুমোদিত, কেননা হাদীসে প্রমাণিত রয়েছে যে,কোন কোন সাহাবীর আংটিতে ছোট্ট ফটো ছিলো(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/২৫৯ কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৬/৫২৮)


في الدرالمختار ج١-ص٦٤٨

(أو كانت صغيرة) لا تتبين تفاصيل أعضائها للناظر قائما وهي على الأرض، ذكره الحلبي (أو مقطوعة الرأس أو الوجه) أو ممحوة عضو لا تعيش بدونه

و في حاشية ابن عابدين (قوله لا تتبين إلخ) هذا أضبط مما في القهستاني حيث قال بحيث لا تبدو للناظر إلا بتبصر بليغ كما في الكرماني، أو لا تبدو له من بعيد كما في المحيط ثم قال: لكن في الخزانة: إن كانت الصورة مقدار طير يكره، وإن كانت أصغر فلا. اهـ. 

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!

যদি ব্যবহারিক জিনিষে এত ছোট্ট পরিমাণ ফটো থাকে যে,উক্ত জিনিষ জমিনে থাকাবস্থায় দাড়িয়ে সেটার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দৃষ্টিগোচর হয় না,তাহলে এমন ফটো থাকার কারণে উক্ত জিনিষের ব্যবহার হারাম হবে না।হ্যা যিনি বানাবেন,তিনি অবশ্যই বড় আকৃতির ফটো বানানোর সমপর্যায়ের গোনাহগার হবেন। অথবা যদি ফটো মাথা কর্তিত থাকে বা এমন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কর্তিত অবস্থায় থাকে,যা না থাকার কারণে প্রাণী জীবিত থাকতে পারে না,অথবা কোথাও অসম্মানের সাথে ফটোকে রাখা হয়,তাহলে এজাতীয় ফটো সমূহের ব্যবহার অবৈধ হবে না।বিস্তারিত জানুন-(জাওয়াহিরুল ফিকহ-৭/২৫৯)......

আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/1955

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো প্রানীর চেহারা বা মুখ অস্পষ্ট থাকলে সেটা ব্যবহারের রুখসত থাকবে, এবং এটা ব্যবহারের অনুমতি থাকবে। 

★প্রশ্নে উল্লেখিত লোগোতে যেহেতু প্রানীর চোখ,মুখ এর অবয়ব বুঝা যাচ্ছে,তাই এমন ছবি আকা জায়েজ হবেনা।

সুতরাং উল্লেখিত লোগো নাজায়েজ,তাই এর ব্যবহারও নাজায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...