আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম।
স্বামীর ইনকাম যদি হারাম হয় এবং স্ত্রী সেটা জানে কিন্তু স্ত্রী হারাম ইনকাম বাদ দিতে বললেও স্বামীর হাতে অন্য কোন ইনকামের অপশন নেই বলে যদি হারাম ইনকামের উপর স্থীর থাকে এবং স্ত্রী সন্তানকে যদি ভরন পোষণ করার জন্য সেই ইনকাম থেকে অর্থ খরচ করে তবে কি এই হারাম টাকা স্ত্রী এবং সন্তানের জন্যেও হারাম হবে? বা যদি এমন হয় যে স্ত্রীর কাছে হালাল বলে তাদের পিছনে হারাম খরচ করা হয় এবং স্ত্রীর সেটা অজানা থাকে তবে কি এটা স্ত্রীর জন্য হারাম হবে?
যদি স্ত্রী জন্য এসব টাকা হারাম হয় তবে স্ত্রী তার ভরণ পোষণ কি ভাবে করবে? যেহেতু স্বামীই তার একমাত্র দায়িত্ব বহন করে এবং স্ত্রীর কোন ইনকামের পথ নেই।

হারাম হালার নিশ্চিত নয় এমন টাকা দিয়ে কি হজ্জ করা জায়েজ হবে?

স্ত্রী অনেক তাগিদ দেওয়ার পরেও যদি স্বামী নামাজের ব্যপারে, হারাম হালালের ব্যপারে, দ্বীনের ব্যাপারে উদাসীন হয় তবে কি করা উচিত? এই গুনাহ কি স্ত্রীর উপরেও আসবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বামীর উপার্জন যদি হারাম থাকে বা স্বামী সম্পদের অধিকাংশ যদি হারাম থাকে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উচিৎ নিজ মাল থাকলে সেই মাল থেকে খোরাকি গ্রহণ করা।তবে সে চাইলে স্বামীর মাল থেকেও খোরাকি নিতে পারবে।তবে এক্ষেত্রে না নেয়াই উত্তম।স্ত্রীর কোনো প্রকার মাল না থাকলে সে স্বামীর উক্ত সম্পত্তি থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি নিতে পারবে।
রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
وَفِي جَامِعِ الْجَوَامِعِ: اشْتَرَى الزَّوْجُ طَعَامًا أَوْ كِسْوَةً مِنْ مَالٍ خَبِيثٍ جَازَ لِلْمَرْأَةِ أَكْلُهُ وَلُبْسُهَا وَالْإِثْمُ عَلَى الزَّوْج ِتَتَارْخَانِيَّةٌ
যদি স্বামী সন্দেহজনক মাল দ্বারা খাদ্য বা কাপড় ক্রয় করে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উক্ত খাদ্য এবং কাপড়-কে গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। গোনাহ অবশ্য স্বামীরই হবে।(তাতারখানিয়া)(রদ্দুল মুহতার-৬/১৯১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/782

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার জন্য স্বামীর হারাম ইনকাম থেকে ওয়াজিব খোরপোষ গ্রহণ জায়েয হবে।তবে ওয়াজিবের অতিরিক্ত খোরপোষ গ্রহণ করা জায়েয হবে না


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...