বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
দশ বৎসরে উপনীত হওয়া সন্তানদের মধ্যে শয়নস্থল-কে পৃথক করে দিতে হবে।এ বিধান ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তান এবং সন্তান ও পুরুষদের মধ্যে প্রযোজ্য হবে।কেননা এটা ফিতনার দিকে নিয়ে যেতে পারে। যদিও বিষয়টা সময়সাপেক্ষ।
বায্যাযিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,যখন ছেলে সন্তান দশ বৎসরে উপনীত হয়ে যাবে,তখন যেন সে তার মা,বোন,এবং অন্য কোনো নারীর সাথে শয়ন না করে,(তবে নিজ স্ত্রী বা দাসীর সাথে শয়ন করতে পারবে)।মোটকথা নিষিদ্ধ জিনিষ তথা যিনা-ব্যভিচার থেকে বাচাতেই মূলত শয়নস্থলকে পৃথক করে দেয়ার বিধান এসেছে।
কেননা বাচ্ছা দশ বৎসরে উপনীত হয়ে গেলে সে সহবাসের তাৎপর্য বুঝে নিতে সক্ষম হয়ে যায়।এবং বয়স কম থাকার ধরুণ তার খোদাভীরুতাও অসম্পূর্ণ থাককে।তাই আশংকা থেকে যায় যে,হয়তো সে তার সাথে শয়নকৃত ব্যক্তির উপর আপতিত হয়ে যেতে পারে।
এ আশংকা এজন্য যে, ঘুম হলো-প্রশান্তিদায়ক এবং যৌন উত্তেজনা কে জাগ্রতকারী। অন্যদিকে ঘুমের সময় কাপড় খুলে গিয়ে সতর প্রকাশিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রাখে।
সুতরাং এমতাবস্থায় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম শয়নের দিকে সন্তান চলে যেতে পারে।বিশেষ করে বর্তমান সময়ের সন্তান,যারা কিনা পাপাচারের অনুশীলনে বড়দের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে।বিস্তারিত জানুন-
757
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দশ হওয়ার পর বালেগ ছেলেকে পাশে রেখে মা ঘুমাতে পারবে না।পাশে কুল বালিশ থাকলেও ঘুমোতে পারবে না।তবে নাবলক ছেলেকে পাশে রেখে মা ঘুমোতে পারবে।