বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কোনো মুসলিম যদি বলে যে " মুসলমানের বাচ্চারা পাঁচ বার নামজে যায়,আমাদের হিন্দুর বাচ্চারা তো যায় না" এর দ্বারা নিজেকে হিন্দু দাবী করাই বুঝায়।সুতরাং তার এই কথার জন্য ঈমান নবায়ন করতে হবে।
(২)
অনিচ্ছাকৃত বে-খেয়ালে উচ্ছারিত হলে, ঈমান যাবে না। বরং ঈমান বহাল থাকবে।তবে তাওবাহ করতে হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560
(৩)
যদি মজা করে বা কুনো কারণে, নিজেকে কাফের/হিন্দু/মুশরিক/খ্রিষ্টান ইত্যাদি বলে ফেলে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
(৪)
কেউ যদি মনে মনে ভাবে যে, সাহাবারা নিষ্পাপ/মাসুম, তাহলে তার এই চিন্তাভাবনা অঠিক।তবে এই চিন্তাভাবনার জন্য সে কাফের হবে না। সাহাবারা মাগফুর। অর্থাৎ সাহাবাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে, এমন আকিদা বিশ্বাস রাখাই সঠিক।