তালাক হয়ে গেছে কিনা

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ্। এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করছি।

তালাকের অধিকার প্রাপ্ত বউ (একবার তার স্বামী তাকে বলেছিলো তুই তালাক দিয়ে চলে যা, তারপর থেকে স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত) তালাকের ওয়াসওয়াসাতে ভুগে।

ঝগড়ার সময় স্ত্রী বলেছে, একেবারে এই বাড়িতে থাকবোই না। এ কথা বলার পর তার মাথায় আসছে যে, সে কি জন্য কথাটা বললো। তালাকের জন্য কিনা/ তালাক হলো কিনা বা শয়তান তাকে যে ওয়াসওয়াসা দিয়েছে রাগের কারণে মনে নাই।

তখন সে রাগে শুধু মন কে সায় দিয়েছে সে থাকবেই না (এসব কিছুই তার মনে হয়েছে এই বাড়িতে থাকবোই না বলার পর)। তারপর আর সে অর্থে কিছুই বলেনি, তারপর সে ওই বাড়িতে থেকেছে। তাদের কি তালাক হয়েছে? আর কোন কথা বলার পরই মন বা শয়তান তাকে জিজ্ঞেস করে কেন বললো কথাটা, এভাবে মন কে বুঝানোর কি দরকার আছে। কিছু বলার পর তো তার নিয়ত ঠিক করা যায়না তাইনা? আর সে কখনোই তালাক দিতেও চায় না তবে খুবই ওয়াসওয়াসায় ভুগে। সে কি তার স্বামীর দেওয়া তালাকের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে? সে নিতে চায় না। তার খুব সমস্যা হয়।

বিঃদ্রঃ স্ত্রী তার স্বামীকে খুব ভালোবাসে আর তাকে ছেড়ে যেতে ও চায় না। তারা আবার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যান। এখন প্রশ্ন তাদের সম্পর্কের কোন ক্ষতি হয়েছে কি? তালাক হয়ে গেছে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।

স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4506

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"একবার তার স্বামী তাকে বলেছিলো তুই তালাক দিয়ে চলে যা,"

স্ত্রী যদি উক্ত বৈঠকে নিজের উপর তালাক দিয়ে দিতো, তাহলে তালাক হয়ে যেতো।যেহেতু স্ত্রী ঐ বৈঠকে তালাক গ্রহণ করেনি, তাই পরবর্তীতে স্ত্রীর তালাকের অধিকার থাকবে না।