বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিশিষ্ট মুহাক্বিক আলেম সালেহ আল-মুনাজ্জিদ রাহ বলেন,
খ্রিস্টমাস (বড়দিন) কিংবা অন্য কোন বিধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে কাফেরদের শুভেচ্ছা জানানো আলেমদের সর্বসম্মত মতানুযায়ী হারাম। ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) তাঁর লিখিত “আহকামু আহলিয যিম্মাহ” গ্রন্থে এ বিধানটি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন: “কোন কুফরী আচারানুষ্ঠান উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। যেমন- তাদের উৎসব ও উপবাস পালন উপলক্ষে বলা যে, ‘তোমাদের উৎসব শুভ হোক’ কিংবা ‘তোমার উৎসব উপভোগ্য হোক’ কিংবা এ জাতীয় অন্য কোন কথা। যদি এ শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করা কুফরীর পর্যায়ে নাও পৌঁছে; তবে এটি হারামের অন্তর্ভুক্ত।
(২)
সরকার যদি রাসুলাল্লাহ সাঃ এর কুটুক্তিকারীদের শাস্তি না দেয়, কিংবা নিন্দা জ্ঞাপন না করে,যদি এটা কুটুক্তিকারীদের প্রতি সমর্থনজ্ঞাপন পূর্বক হয়ে থাকে,তাহলে সরকার বে-ঈমান,যিনদিক হিসেবে প্রমাণিত হবে।কিন্তু যদি ভিন্ন কোনো কারণে এমনটা হয়ে থাকে,তাহলে সেটা মুনাফিকি হিসেবে গণ্য হবে।
(৩)
মহিলাদের জন্য রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সহ কোনোপ্রকার, নেতৃত্ব পালন করা জায়েয হবে না।কেননা আল্লাহ কুরআনে বলেন,পুরুষরাই নারীদের নেতৃত্ব দিবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
قَالَ : لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمْ امْرَأَةً
সে জাতী কখনো কামিয়াব হতে পারে না,যারা নারীকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করে নেয়।(সহীহ বুখারী-৪৪২৫)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
2944সুতরাং রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করা নারীদের জন্য কখনো জায়েয হবে না।
(৪)
খেলাফত গঠন ফরযে কেফায়া।সেটা যেভাবে সম্ভব সেভাবেই গঠন করতে হবে।খেলাফত প্রতিষ্টার পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
1887 বর্তমানে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই খেলাফত প্রতিষ্টা সম্ভবপর বলে হচ্ছে।অন্যগুলো যদিও উত্তম কিন্তু জটিলও কঠিন।