এমন কোনো ব্যাক্তি যে সুদ-ঘুষের সাথে সরাসরি জড়িত যদি কারোর পড়াশোনার খরচ বহন করে তাহলে তার জন্য কি সেই টাকায় পড়াশোনা করা জায়েজ হবে?

Question

১.আমার বাবার ইনকাম অনেক কম। সেই টাকায় আমার পড়াশোনা করানো সম্ভব না।এমতাবস্থায় আমার এক আত্মীয় আমার পড়াশোনার খরচ বহন করছে। কিন্তু তিনি সরাসরি ঘুষের সাথে জড়িত এবং তার টাকার বেশিরভাগ অংশই ঘুষের টাকা। এমতাবস্থায় এই টাকায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কি আমার জন্য যায়েজ হবে?

২.আমাকে প্রায় সময়ই উনার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং খাওয়ানো হয় এই খাবার খাওয়া কি আমার জন্য বৈধ হবে?

৩.যদি এমন হয় যে আমি পরবর্তীতে এই টাকা পরিশোধ করে দেই এই নিয়তে যদি নেই তাহলে কি নেওয়া জায়েজ হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিত্তশালীর জন্য হারাম মাল থেকে হাদিয়া গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।তবে যাকে হাদিয়া দেয়া হচ্ছে, তিনি যদি এমন মিসকিন হন যে, তার উপর যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পরিমাণ সম্পদ নেই। তাহলে এমন ব্যক্তির জন্য উক্ত হাদিয়া গ্রহণ জায়েয।কেননা হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1900

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১+২)
আপনি যদি যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত হন, তাহলে আপনি ঐ ব্যক্তির হারাম মাল থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। নতুবা পারবেন না।

(৩)
হ্যা, এ নিয়তে পারবেন।তবে ততটুকুই নিতে পারবেন,যতটুকু না হলে নয়।অতিরিক্ত বা বেশী নিতে পারবেন না।