মা'সুম বলা হয় কথা-বার্তা, চাল-চলন, আকীদা-বিশ্বাস, লেনদেন সবদিক থেকে আল্লাহ তাআলা যাকে বিশেষ অনু্গ্রহে শয়তানের প্রভাব থেকে সর্বদা মুক্ত রেখেছেন। ফলে তার দ্বারা কোনো কবীরা কিংবা সগীরা গুনাহ সংঘটিত হয় না। আর সমস্ত নবীগণই এই গুণে গুণান্বিত ছিলেন।
নবিগন ছগিরা ও কবিরা সমস্ত গুনাহ থেকেই মুক্ত,এটিই অনেক ইসলামী স্কলারদের মত।
এতদ্বসত্ত্বেও কোনো কোনো নবী থেকে প্রকাশিত যে কাজগুলোকে বাহ্যিকভাবে অপরাধ মনে হয় বাস্তবে তা কোনো অপরাধ ছিল না। বরং তা ছিল উত্তমের বিপরীতে অনুত্তম কাজ।
কিন্তু আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বান্দাদের থেকে যেন অনুত্তম কোনো কাজও প্রকাশিত না হয় তাই এ ধরনের অনুত্তম কাজের জন্যও তাদেরকে সতর্ক করে দেন।
মোল্লা আলী কারী রহঃ র্ব্ণনা করেছেন,
اَلْأَنْبِيَاءُ مَعْصُوْمُوْنَ قَبْلَ النَّبُوَّةِ وَبَعْدَهَا عَنْ كَبَائِرِ الذُّنُوْبِ وَصَغَائِرِهَا وَ لَو سَهْوًا عَلى مَاهُوَ الْحَقُّ عِنْدَ الْمحقِّقين
“নবীগণ নবুয়াতের পূর্বে ও পরে কবীরা-সগীরা উভয় প্রকার গুনাহ থেকে নিষ্পাপ পবিত্র এমনকি অনিচ্ছাকৃতভাবেও । এটাই মুহাক্কিক ওলামাদের নিকট হক কথা।”(মিরকাত)
আল্লামা তাফতাযানী রহঃ বলেন,রাসুলুল্লাহ সাঃ হতে সগিরা গোনাহ সংগঠিত হতে পারে,সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে জমহুর উলামায়ে কেরাম বলেন,রাসূলুল্লাহ থেকে যেভাবে কবিরা গোনাহ হয়নি ঠিক সেভাবে সগিরাও সংগঠিত হয়নি।
আরো জানুনঃ-
নবি রাসুল দের নিষ্পাপ হওয়া সংক্রান্ত জানুনঃ
(০২)
আমরা আকীদাহ রাখবো যে তারা সকল গুনাহ থেকে মা'সুম।
(০৩)
সুরা বাকারার ৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ قُلۡنَا یٰۤاٰدَمُ اسۡکُنۡ اَنۡتَ وَ زَوۡجُکَ الۡجَنَّۃَ وَ کُلَا مِنۡہَا رَغَدًا حَیۡثُ شِئۡتُمَا ۪ وَ لَا تَقۡرَبَا ہٰذِہِ الشَّجَرَۃَ فَتَکُوۡنَا مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۳۵﴾
এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম যে তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাকো এবং ওখানে যা চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাকো, কিন্তু এই গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। অন্যথায় তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে।
فَاَزَلَّہُمَا الشَّیۡطٰنُ عَنۡہَا فَاَخۡرَجَہُمَا مِمَّا کَانَا فِیۡہِ ۪ وَ قُلۡنَا اہۡبِطُوۡا بَعۡضُکُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ ۚ وَ لَکُمۡ فِی الۡاَرۡضِ مُسۡتَقَرٌّ وَّ مَتَاعٌ اِلٰی حِیۡنٍ ﴿۳۶﴾
শয়তান তাদের উভয়কে ওখান থেকে পদস্খলিত করেছিল। পরে তারা যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল, তা থেকে তাদের বের করে দিল এবং আমি বললাম, তোমরা নেমে যাও, তোমরা পরস্পর একে অপরের শত্রু হবে এবং তোমাদের সেখানে কিছুকাল অবস্থান করতে হবে ও লাভ সংগ্রহ করতে হবে।
নবীগণ পাপ থেকে বিমুক্ত ও পবিত্র।
চার ইমাম ও উম্মতের সম্মিলিত অভিমতেও নবীগণ ছোট-বড় যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত ও পবিত্র। এ ধরনের ঘটনাবলি সম্পর্কে উম্মতের সর্বসম্মত অভিমত এই যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা অনিচ্ছাকৃত কারণে নবীদের দ্বারা এ ধরনের কাজ সংঘটিত হয়ে থাকবে। কোনো নবী (আ.) জেনেশুনে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহপাকের হুকুমের পরিপন্থী কোনো কাজ করেননি। এ ত্রুটি ইজতেহাদগত ও অনিচ্ছাকৃত এবং তা ক্ষমাযোগ্য।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের আকীদা রাখতে হবে যে সেটি গুনাহ নয়।
এটি ইজতিহাদগত বিষয় ছিলো।
,
একটি কথা আছে "নিকটস্থ মুহাব্বত ওয়ালা লোকের উনুত্তম কাজকেও ত্রুটি ধরা হয়,তাই এটাকে এটার জন্য আদম আঃ তওবা করছিলেন।
,
এটি মুহাব্বতের বহিঃপ্রকাশ ছিলো।
তিনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উম্মত হবেন,ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শরীয়তের নীতিমালা মেনে চলবেন।