ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একসাথে তিন তালাক দিলে কয় তালাক পতিত হবে?সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/222
(১)
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"
মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।
সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব। এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ ভাই/বোন যেহেতু পূর্ব থেকে সালাফি মানহাজ্বকে গ্রহণ করছেন না।কাজেই বুঝা গেল,তারা হানাফি। কেননা আমাদের দেশে আদিকাল থেকে হানাফি মাযহাবের চর্চা হয়ে আসছে। সুতরাং এটাই স্বাভাবিক যে,তাদের অন্যান্য ইবাদত হানাফি মাযহাবের আলোকেই হচ্ছে। সুতরাং এখন নিজের লাভ দেখে, নিজ সংসারকে বাঁচানোর নিমিত্তে হানাফি সালাফি মাযহাবকে গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না। বরং তাদের তালাক হয়ে গিয়েছে। তারা হানাফি ফিকহের আলোকেই জীবনাতিপাত করবেন।
(২)
আপনার উপর ফরয যে, আপনি নিজের সামর্থ্যানুযায়ী তাদেরকে বুঝাবেন।সংসার করতে বাধা দিবেন।তবে আপনি যদি ফিতনার অাশংকা করেন, তাহলে তখন আপনি সরাসরি তালাকের বিধান নিয়ে তাদেরকে কিছু বলবেন না বরং তাদেরকে সাধারণ ভাবে দ্বীনের দাওয়াত দিবেন।দ্বীনের কথা তাদেরকে বুঝাবেন।