আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।এক বোন বিয়ে করেছে কিন্তুু ওর  মা বাবা মেনে নেই নি।এখনো বাবার বাড়িতে থাকে।এখনো ওর বাবা মা বলে বিয়ে ভেন্গে দিতে।কিন্তু মেয়েটি চায় তার স্বামীর সাথে থাকতে।কিন্তু মাকে কিছু বলে না।চুপ করে থাকে মেয়েটা।কারন কিছু বললে হয়ত মা ক্স্ট পাবে বা এমনিতে ভয়ে।বললেও পরে বলবে সেটা আর কি।মেয়েটা তার স্বামীকে খুব ভালবাসে।যদি না মানে মা বাবা, স্বামীর সাথে চলে যাবে।।মেয়েটাকে স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।চুপ করে থাকার কারনে কি কোন সমস্যা হবে বৈববাহিক সম্পর্কে? সে চায়,স্বামীর সাথে থাকতে।

২।মেয়েটার মা মানতেছে না তাই তার স্বামী বলতেছে " একটা কথা ভেবে দেখ তহ তুমার অবস্হানটা কোথায়? পারবে না এরপর ও একটু ভেবে দেখ তহ।তুমার সংংসার অন্য কারো সাথে টিকবে কিনা।কত কিছু হইছে আমাদের মাঝে।এ কথাগুলো তুমার মায়ের মাথায় ডুকাতে পারলে তখন এটার দ্বারা হইলেও  চিন্তা করবে।"স্বামীর এ কথাটা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?কথাটা  দ্বারা তহ বুঝা যাচ্ছে স্বামী তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি।

৩।একটা মেয়েকে তার স্বামী পাওয়ার দিছে তালাকের।তহ মেয়েটা চুরি করে বিয়ে করেছিল।কিন্তুু বাসায় এখনো মেনে নেই নি।তহ ওর খালারা ওর স্বামীকে নিচু করে কথা বলেছিল নিজেরা নিজেরাা।ওটা শুনে মেয়েটার খারাপ লাগছে।তহ মেয়েটা কথাগুলো বান্ধবীকে বলতেছিল।বান্ধবী বলতেছিল বেশি টাকা ওয়ালা কিজন্য ২ -৩ টাকে নিয়ে ঘুরে।তহ মেয়েটার খালাগুলোকে  ওদের স্বামীরা বিশ্বাস করে না।তহ ওটা নিয়ে মেয়েটা বলতেছিল বিশ্বাস করে না এগুলো কি বা কি জন্য।কি জন্য ওটা বলে নাই  মনে হয়, নাকি বলার সময় চুপ হয়ে যায়।বললেও হয়ত এত কিছু ভেবে বলে নাই।ওর স্পষ্ট মনে নেই।কারন ওই মেয়েটা মারাত্বক ওয়াাওয়াসায় আক্রান্ত। ওর ভয় হয় ওই কথাটা দ্বারা কি কোন শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবে কিনা মানে কোন সময় যদি ওর নিজের স্বামী ওকে বিশ্বাস না করে আর কি।ওই মেয়েটা নাহ নাহ করতেছিল।সে ওই নিয়তে বলে নি।বলার সময়ও ভয়ে চুপ হয়ে যায়।আর না না করে মনে মনে।

৪।মনে করেন কোন মেয়েকে তার স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।কিন্তু তারা স্বামী স্ত্রী জানে না মেয়েরা তালাক দিতে পারে।মেয়েটা যদি স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলে যদি ঐ কাজটা কর তাহলে তা......।ধরেন মেয়েটা  মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলল।নিজের দিকে করে নি।তাহলে কি সমস্যা হবে? এই প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য।

৫।একটা মেয়েকে স্বামী পাওয়ার,দিছে।কিন্তু সে স্বামীর সাথে থাকতে চায়।মেয়েটার পরিবার বিয়েটা মেনে নেই নি।স্বামী বলতেছে আমার এখনো বিশ্বাস হয়,না তুমি আমার সাথে থাকবে।স্ত্রী কিন্তু থাকতে চায়।সে ভয় পায়,স্বামী কোন কেনায়া শব্দ বলে ফেলবে কিনা সেটা ভেবে।সে স্বামীকে চুপ করানোর জন্য। "বেস!!! আর কিছু বলিয়েন না" এরকম বলে।এর পর পর ওর মনে বিভিন্ন ওয়াসওয়াস আসতে থাকে।কিন্তু সে স্বামীকে ছাড়তে চায় না,সে মনে মনে না না করতে থাকে।  কথাটা বলার দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?

৬।৪নং প্রশ্নটা এমনিতে জানার জন্য,করেছি।এমনটা ঠিক আমার সাথে হয়েছে কিনা জানি না।হয় নি মনে হয়।আমার স্বামীও আমাকে পাওয়ার দিছে।প্রশ্নটা আমি অন্য মেয়েকে নিয়ে বলেছি।এতে কি আমার বৈববাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (679,640 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চুপ থাকাতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
স্বামীর এ কথাটা দ্বারা তালাক সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
ঐ কথাটা দ্বারা কোন শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবেনা।

আপনি নিশ্চয়ই থাকুন।

(০৪)
এতে কোনো তালাক হবেনা।

(০৫)
কথাটা বলার দ্বারা কোন সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এতে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...