হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ ".
ইবন ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। ১. আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা। ২. সালাত কায়িম করা। ৩. যাকাত আদায় করা। ৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং ৫. রমাযানের সিয়ামব্রত পালন করা। (৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (বুখারী শরীফ ০৮. আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭)
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ . قَالَ " أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ
তিনি (রাসুলুল্লাহ সাঃ) বলেনঃ ইসলাম হলো-এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল। তুমি সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং রমযানের রোযা রাখবে এবং সামর্থ থাকলে আল্লাহ্র ঘর যিয়ারত (হাজ্জ) করবে। তখন সে বলেঃ আপনি সত্য বলেছেন।
উমার (রাঃ) বলেনঃ তার এরূপ উক্তিতে আমরা বিস্মিত হই এ জন্য যে, সে নিজে প্রশ্ন করছে এবং নিজেই তা সত্যায়িত করছে! এরপর সে জিজ্ঞাসা করেঃ ঈমান কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঈমান হলো-তুমি আল্লাহ্, ফেরেশতা, কিতাব, রাসূল এবং কিয়ামতের দিনের উপর দৃঢ়-বিশ্বাস রাখবে, আর এও ইয়াকীন রাখবে যে, তাকদীরের ভাল-মন্দ সবই আল্লাহ্র তরফ থেকে হয়।
(আবু দাউদ ৪৬২২)
আমরা শরীয়তের ফরজকে এভাবে নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। একেক বিষয়ে একাধিক বিষয় ফরজ রয়েছে। নামাযের কিছু ফরজ আছে। হজ্বের কিছু ফরজ আছে,রোযার কিছু ফরজ আছে,তায়াম্মুমের কিছু ফরজ আছে,অযুর কিছু ফরজ আছে,গোসলের কিছু ফরজ আছে, পারিবারিক জীবনে কতিপয় বস্তু ফরজ আছে এভাবে একেক বিষয়ে একেক ফরজ রয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে সংখ্যানুসারে ফরজ বলা কিছুতেই উচিত হবে বলে মনে হয় না।
আপনি বরং নির্দিষ্ট ইবাদত বিষয়ে কয়টি ফরজ আছে তা আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ আমরা তা জানাতে চেষ্টা করবো।