আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,
প্রিয় শায়েখ,
https://ifatwa.info/50852/ এই প্রশ্নে আমি আমার সকল সমস্যা উল্লেখ করেছি দয়া করে এই প্রশ্নটি দেখে উত্তর দিবেন।

উক্ত প্রশ্নের উত্তরে আমি ১ম পথ বেচে নিতেছি।

আর কিছু কথা ডাক্তার আমাকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খেতে নিষেধ করেছেন, সকল প্রকার গোস্ত থেতে নিষেধ করেছেন, ময়দার তৈরি কোন কিছু খেতে নিষেধ করেছেন।

আমার সমস্যা মূলত মানসিক ও শারীরিক। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যাথা,উচ্চ রক্তচাপ ,বুকে ব্যথা,অস্থিরতা ইত্যাদি।( উক্ত সমস্যাগুলো ২ বছর ধরে)

তো খাবারে ভিত্তিতে আমাকে হোটেলে খেতে হয় সকালে তেলে ভাজা ময়দার পরোটা,দুপুরে/রাতে ভাত ও অতিরিক্ত তেলে রান্না করা মাস ও গোস্ত।আর আমাকে দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু জব করলে মনে হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া হবে না আর নিয়মিত নামাজ আদায় করাও হবেনা।

তো আজকে থেকে আমার ডিউটি শুরু প্রথম শিফট রাতে থেকেই।আবার ডিউটি করতে হবে ১২ ঘণ্টা। ১ম শিফট সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬ টা ( ৩ ওয়াক্ত নামাজ কাযা) ২য় শিফট সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা ( ২ ওয়াক্ত নামাজ কাযা)

এখন আমার প্রশ্ন,

(১) ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও যদি আগের প্রশ্নের উত্তরে প্রথম পথ বেচে নিয়ে জব করি তাতে যদি আমার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুব খারাপ হয় (যদিও অলরেডি  শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ )  বা আমার বড় ধরনের বিপদ হয় তাহলে কি এ কারণে আমার কোন গুনাহ হবে?

(২) এই জব করলে মনে হয় না নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারবো না কাযা হয়ে যাবে।এর সমাধান দিবেন?

( আর বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো জব খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল, আর আমার কোন ভালো আত্বীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব নাই যে আমাকে ভালো একটা জব নিয়ে দেবে)
আর আমার সমস্যা আল্লাহ তো সব জানেন কিন্তু দুনিয়ায় কেউ আমার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেনা (এমনকি আমার পিতামাতা পরম আত্বীয়রাও) শুধুমাত্র রেজিষ্ট্রেশনকৃত ডাক্তার ছাড়া।

সাধারণ মানুষ কেউ আমাকে পরামর্শ দেয় নামাজের ক্ষেত্রে পেটের দায়ে নামাজ বাদ দাও আগে পেট বাচাও,আমি এদের কোন গুরত্ব দেয়না।আমি কোন ভাবেই নামাজ কাযা করতে চায় না।আর আমার অসুখের ক্ষেতে বলে চাকরি করলে সব ঠিক হবে।

শায়েখ দয়া করে আমাকে আবার ভালো একটা পরামর্শ দেন?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ فَسَلَّمْتُ ثُمَّ قَعَدْتُ فَجَاءَ الأَعْرَابُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَتَدَاوَى فَقَالَ " تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلاَّ وَضَعَ لَهُ دَوَاءً غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرَمُ " .

উসামা ইবন শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন সময় আসি, যখন তাঁর সাহাবীগণ তাঁর চারপাশে এমন ভাবে বসে ছিল, যেন তাঁদের মাথার উপর পাখী বসে আছে (অর্থাৎ শান্তভাবে)। এরপর আমি সালাম করি এবং বসে পড়ি। এ সময় আরবের লোকেরা এদিক-সেদিক থেকে সেখানে সমবেত হয় এবং তারা বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি চিকিৎসা করাব? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তোমরা রোগের চিকিৎসা করাবে। কেননা, আল্লাহ তা’আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি, যার চিকিৎসার জন্য ঔষধের ব্যবস্থা রাখেন নি; তবে বার্ধক্য এমন একটি রোগ যার কোন চিকিৎসা নেই।
(আবু দাউদ ৩৮১৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
চিকিৎসা গ্রহন করা সুন্নাত,তাই অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

(০১)
হ্যাঁ  এতে গুনাহ হবে।

(০২)
নামাজ কাজা করা জায়েজ হবেনা।
আপনি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে নামাজের জন্য সময় চেয়ে নিবেন।

নতুবা এই চাকুরী চালু রেখে অন্য চাকুরী তালাশ করুন।
নতুন চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবে নামাজ কাজা হওয়ার দরুন আল্লাহর কাছে তওবা করবেন।
কাজা গুলি নিয়মিত আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
জাযাকাল্লাহ।। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...