আসসালামুআলাইকুম,
প্রিয় শায়েখ,
https://ifatwa.info/50852/ এই প্রশ্নে আমি আমার সকল সমস্যা উল্লেখ করেছি দয়া করে এই প্রশ্নটি দেখে উত্তর দিবেন।
উক্ত প্রশ্নের উত্তরে আমি ১ম পথ বেচে নিতেছি।
আর কিছু কথা ডাক্তার আমাকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খেতে নিষেধ করেছেন, সকল প্রকার গোস্ত থেতে নিষেধ করেছেন, ময়দার তৈরি কোন কিছু খেতে নিষেধ করেছেন।
আমার সমস্যা মূলত মানসিক ও শারীরিক। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যাথা,উচ্চ রক্তচাপ ,বুকে ব্যথা,অস্থিরতা ইত্যাদি।( উক্ত সমস্যাগুলো ২ বছর ধরে)
তো খাবারে ভিত্তিতে আমাকে হোটেলে খেতে হয় সকালে তেলে ভাজা ময়দার পরোটা,দুপুরে/রাতে ভাত ও অতিরিক্ত তেলে রান্না করা মাস ও গোস্ত।আর আমাকে দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু জব করলে মনে হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া হবে না আর নিয়মিত নামাজ আদায় করাও হবেনা।
তো আজকে থেকে আমার ডিউটি শুরু প্রথম শিফট রাতে থেকেই।আবার ডিউটি করতে হবে ১২ ঘণ্টা। ১ম শিফট সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬ টা ( ৩ ওয়াক্ত নামাজ কাযা) ২য় শিফট সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা ( ২ ওয়াক্ত নামাজ কাযা)
এখন আমার প্রশ্ন,
(১) ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও যদি আগের প্রশ্নের উত্তরে প্রথম পথ বেচে নিয়ে জব করি তাতে যদি আমার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুব খারাপ হয় (যদিও অলরেডি শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ ) বা আমার বড় ধরনের বিপদ হয় তাহলে কি এ কারণে আমার কোন গুনাহ হবে?
(২) এই জব করলে মনে হয় না নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারবো না কাযা হয়ে যাবে।এর সমাধান দিবেন?
( আর বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো জব খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল, আর আমার কোন ভালো আত্বীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব নাই যে আমাকে ভালো একটা জব নিয়ে দেবে)
আর আমার সমস্যা আল্লাহ তো সব জানেন কিন্তু দুনিয়ায় কেউ আমার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেনা (এমনকি আমার পিতামাতা পরম আত্বীয়রাও) শুধুমাত্র রেজিষ্ট্রেশনকৃত ডাক্তার ছাড়া।
সাধারণ মানুষ কেউ আমাকে পরামর্শ দেয় নামাজের ক্ষেত্রে পেটের দায়ে নামাজ বাদ দাও আগে পেট বাচাও,আমি এদের কোন গুরত্ব দেয়না।আমি কোন ভাবেই নামাজ কাযা করতে চায় না।আর আমার অসুখের ক্ষেতে বলে চাকরি করলে সব ঠিক হবে।
শায়েখ দয়া করে আমাকে আবার ভালো একটা পরামর্শ দেন?