সুন্নাহ হচ্ছে ফজরের পর না ঘুমানো।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عَطَاءٍ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ حَدِيدٍ، عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا. وَكَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً أَوْ جَيْشًا بَعَثَهُمْ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ وَكَانَ صَخْرٌ رَجُلًا تَاجِرًا، وَكَانَ يَبْعَثُ تِجَارَتَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَأَثْرَى وَكَثُرَ مَالُهُ
সাখর আল-গামিদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন।’’ তিনি কোনো ক্ষুদ্র বা বিশাল বাহিনীকে কোথাও প্রেরণ করলে দিনের প্রথমভাগেই পাঠাতেন। বর্ণনাকারী সাখর (রাঃ) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তার পণ্যদ্রব্য দিনের প্রথমভাগে (ভোরে) পাঠাতেন, ফলে তিনি সম্পদশালী হয়েছিলেন এবং এভাবে তিনি অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছিলেন।
(আবু দাউদ ২৬০৬)
উরওয়া ইবনু যুবাইর (রহ.) বলেন, যুবাইর (রা.) তাঁর সন্তানদেরকে ভোরবেলা ঘুমানোর ব্যাপারে নিষেধ করতেন। উরওয়া (রহ.) বলেন,
إِنِّي لَأَسْمَعُ بِالرَّجُلِ يَتَصَبَّحُ فَأَزْهَدُ فِيهِ
‘আমি যখন কারো সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ [মুসান্নাফ ইবনু আবি শাইবা, ৫/২২২]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সকালে যদি ঘুমাতেই হয়,তাহলে ফজর নামাজ পড়ে, নিজ স্থানে বসে থেকে ইবাদত করে ইশরাক আদায় করে প্রয়োজনীয় কাজ সেড়ে সকালের খাবার খেয়ে ঘুমানো যেতে পারে।
এতে জানা মতে শরীরের ক্ষতি হবেনা।
তবে এমনটি নিয়মিত করা যাবেনা।
★কেউ বিশেষ প্রয়োজনে ফজরের পরেই ঘুমাতে চাইলে কিছু উলামায়ে কেরামগন এই পরামর্শ দেন যেঃ ফজরের নামাজ পড়ে না ঘুমিয়ে সূর্য উদয় পর্যন্ত সময় কুরআন তিলাওয়াত, যিকির আযকার ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকার চেষ্টা করা।