কুরআন এর ১৯ নম্বর সুরার ১৭ নাম্বার আয়াতে এখানে রুহ বলতে কি জিবরাঈল আ কে বুঝানো হয়েছে আর রুহ আসলে কি কুরানের বিভিন্ন আয়াতে রুহ বলতে দেখি বিভিন্ন জিনিস বুঝানো হয়েছে

Question

আসসালামু আলাইকুম।

১। কুরআন এর  ১৯ নম্বর সুরার ১৭ নাম্বার আয়াতে  এখানে রুহ বলতে কি জিবরাঈল আ কে বুঝানো হয়েছে ?

২। রুহ আসলে কি কুরানের বিভিন্ন আয়াতে রুহ বলতে দেখি বিভিন্ন জিনিস বুঝানো হয়েছে ?

........................................................................................................................

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-

(০১)

উক্ত আয়াতটি হলোঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

فَاتَّخَذَتۡ مِنۡ دُوۡنِہِمۡ حِجَابًا ۪۟ فَاَرۡسَلۡنَاۤ اِلَیۡہَا رُوۡحَنَا فَتَمَثَّلَ لَہَا بَشَرًا سَوِیًّا ﴿۱۷﴾ 

অতঃপর সে তাদের নিকট থেকে নিজেকে আড়াল করল। তখন আমরা তার কাছে আমাদের রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্ৰকাশ করল।

(সুরা আম্বিয়া ১৭)

এখানে ‘রূহ’ বলে জিবরীলকেই বোঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর]

বিষয়টি ফাতহুল কাদীর গ্রন্থেও আছেঃ

ফেরেশতাকে তার আসল আকৃতিতে দেখা মানুষের জন্যে সহজ নয়- এতে ভীষণ ভীতির সঞ্চার হয়। এ কারণে জিবরীল আলাইহিস সালাম মারইয়ামের সামনে মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করেন। [ফাতহুল কাদীর]

(০২)

একদা ইহূদীগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, 

قل الروح من أمر ربی

‘হে নবী! তুমি বল, রূহ হ’ল আল্লাহর একটি আদেশ’ (ইসরা ১৭/৮৫)। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

রুহ এর প্রকৃতি মানুষের জ্ঞানের বাইরে। এমনকি আম্বিয়ায়ে কেরামও এর প্রকৃতি জানতেন না।

এটি মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ।