আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
200 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

১/ তোশক/জাযিম এ প্রস্রাব লাগ্লে পানি ঢালতে হবে যাতে পানি প্রবাহিত হয় প্রায় ৫+ বালতি পানি ডেলেছি পানি মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয় নাই দেখে আমি উলটো করে আরো পানি ঢেলে দিসি।

এক্ষেত্রে জাযিম কি পবিত্র হবে?
সম্পূর্ণ টা ভিজছে কিন্তু মাঝখান ভিজে না।  লাস্ট টাইম আরো এক বালতি ঢালার পর অ ভিজছে না তারপর উল্টিয়ে ভিজিয়ে নিয়েছি।

বাসায় বড় বড় আরো তিনটা বাকি!

এখন এগুলা পবিত্র করবো কীভাবে?  একে পানি নিচে দিয়ে যায় না আরে এত্ত ভারী এগুলা।
এবং অপবিত্র অবস্থায় এই বিছানাগুলা ব্যবহারের নিয়ম কি?  এখানে শুয়ে, উঠে কি নামাজ পড়লে হবে?

২// বালিশ গুলা কীভাবে পবিত্র করবো!  এগুলাও অনেক বড় বড়।

** সোফায় কি করবো?  এটা ভিজলেই নষ্ট হয়ে যাবে।

আর ফোমের গুলা তো আরো বেশি। এগুলা না হয় কিছু একটা করা যাবে। কিন্তু যেগুলা ভিজানো যাবে না অইগুলা কি করবো?

,


৩// আমরা আমাদের যোগ্যতানুযায়ী নিয়ামত পাই।

আমি অনেক গুনাহের কাজ করেছি, মারাত্মক রকমের কবিরা গুনাহ করেছি নাম নিচ্ছি না তাওবা ও করেছি আলহামদুলিল্লাহ। এবং এই গুনাহতে আর জড়াইনি আলহামদুলিল্লাহ।

এই মূহুর্তে কি আমি উত্তম জাওয পাবো?

আমার যোগ্যতা অনুযায়ী জাওয আমি চাই না  আবার আল্লাহ আমার প্রতি ন্যায়বিচারক হোন তাও আমি চাই না। আমি চাই আল্লাহ আমার প্রতি ইহসানকারী হোন যাতে উনার দয়ায় আমি ভালো জাওয পাই। উনি যেন আমার প্রতি রহম করেন এটা আমি চাই।

আমার অস্থিরতা পেরেশানিরর মধ্যে আমাকে কি কিছু শান্তনার বাণী বা আশার আলো দেখাবেন যাতে  আল্লাহ তা'আলা যেন আমাকে কল্যাণকর ও বরকতময় জাওয দিবেন! খুবিইই অসহায় লাগে যখন ভাবি আমাকে আল্লাহর সবচেয়ে পছন্দের জায়গা দিবেন কি দিবেন না আমাকে!
গুনাহকারী মানুষের কি দোয়া কবুল হবে না? আমার পছন্দ কি আল্লাহর কাছে ভ্যালু নাই? আল্লাহ কি আমাকে দুনিয়া আখিরতে কল্যাণকর জীবনসংগী দিবেন?  আমাকে কি আমার পছন্দের জায়গায় নিয়ে যাবেন?  প্লিয বলেন একটু!

আমার আমলের অবস্থা ও আশংকাজনক আমি নিজের সাথে পেরে উঠছি না।
আমাকে একটু সাহায্য করুন।

আল্লাহ কি আমাকে ভালোবাসেন? আমি তো ভালো/নেক আমল করতে পারছি না সংখ্যা ও বাড়াতে পারছি না!

আমি খুব করে চাই আমার পাচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক হয়ে যাক, অন্যান্য আমল ও ইখালাসের সাথে হোক আমি আসলে আমার নিজেকে সাহায্য করতে পারছি না। বদনজরের প্রভাব ও খুব বেশি আমার উপর।

আল্লাহ আমাকে ভালোবাসেন না বলে কি আমি ইবাদাতের তৌফিক পাচ্ছি না?

সত্যি কি আল্লাহ আমাকে ভালোবাসেন না?

অন্তর যেন অশান্ত হয়ে আছে!

আমি নামাজ পড়তে চাই, কুর'আন পড়তে চাই আমি পারছি না,  আমি কি গুনাহ করছি তা ও খুঁজে পাচ্ছি না।

আচ্ছা সত্যিই কি আল্লাহ আমাকে ভালোবাসেন না?

আমার গোল গুলা অনেক বড় দুনিয়াবি না,  আমি অইসব জায়গায় পৌছাতে চাই আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালবাসার সহিত। আমাকে সাহায্য করেন প্লিসসস।। আর সাথে আমার জন্য একটু দোয়া করে দিবেন প্লিসস।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
https://ifatwa.info/3358/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
যদি তোষকে বীর্য লেগে যায় তাহলে ইসলামের বিধান হল, যদি তা শুধু উপরের আবরণে লেগে থাকে এবং ভিতরে প্রবেশ না করে, তাহলে তা ঘষে তুলে ফেললে বা অন্য কোনভাবে দূর করে দেয়া দ্বারা পাক হয়ে যাবে। অথবা তিন বার তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত করে দেয়ার দ্বারাও পাক হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তোশক নাপাকি ভেতরে খুব ভালোভাবে চুষে নেয়, তা হলে তা তিন বার ধৌত করতে হবে। এবং প্রতিবার ধৌত করার পর শুকাতে হবে। শুকানোর অর্থ হচ্ছে তার উপর হাত রাখলে যেন ভিজে না যায়। বা তার ওপর কিছু রাখলে তা ভিজবে না।
(শামি ১/৩৩২)
,
যদি লেপ তোষকে পেশাব লাগে আর তা নিংড়ানো না যায় তবে তিনবার ভালো করে পানি প্রবাহিত করে ধৌত করতে হবে। আর প্রত্যেকবার পানি প্রবাহিত করার পর এমনভাবে রেখে দিবে যাতে সমস্ত পানি ঝরে যায়। এভাবে মোট তিনবার পানি প্রবাহের দ্বারা ধৌত করলে তা পাক হয়ে হবে।
(হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মোটা জাজিম অথবা তোশক এভাবেই ধুয়ে পাক করতে হবে। 
উপরে পানি প্রবাহিত করার পর মাঝে বা নিচে পানি না পৌছলে উল্টো করে পানি দিবেন।

একবার পানি পৌছার পর এমনভাবে রেখে দিবেন, যাতে সমস্ত পানি ঝরে যায়। এভাবে মোট তিনবার পানি প্রবাহের দ্বারা ধৌত করলে তা পাক হয়ে হবে।

১ম বার পানি পৌছার পর, পরের বার থেকে বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি ঐ তোশক পাক না করে তার উপর ঘুমাতে পারবেন।
তবে তোশকের উপর কোনো চাদর বা কাথা রেখে তার উপর ঘুমাতে পারবেন।

উপরে চাদর বা কাথা না রেখে সরাসরি সেই তোশকের উপর ঘুমালে খালি গায়ে ঘুমানো যাবেনা।
কেননা গরমে শরীর ঘেমে গিয়ে নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

★আপনি ঐ নাওয়াক তোশকের উপর জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন।
নামাজ হয়ে যাবে।

(০২)
বালিশ,সোফা,ফোম তোশকের ন্যায় একই নিয়মে পাক করতে হবে।

(০৩)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণা মোতাবেক আমি (আচরণ করি)। আমি তার সঙ্গে থাকি, যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে আমাকে তার অন্তরে স্মরণ করে, আমি তাকে আমার অন্তরে স্মরণ করি। যদি সে আমাকে মজলিসে স্মরণ করে, আমি তাকে তাদের চেয়ে উত্তম মজলিসে স্মরণ করি। যদি সে আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই, যদি সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক বাহু অগ্রসর হই। যদি সে আমার দিকে আসে হেঁটে, আমি তার দিকে যাই দ্রুত।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪০৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
গুনাহগার মানুষের দোয়াও কবুল হয়।

আপনার পছন্দেরও আল্লাহর কাছে ভ্যালু আছে। আল্লাহ তায়ালার কাছে ভালোভাবে চাইলে,তিনি কবুল করলে অবশ্যই তিনি আপনাকে দুনিয়া আখিরাতে কল্যাণকর জীবনসংগী দিবেন।  আপনাকে আপনার পছন্দের জায়গায় নিয়ে যাবেন।

আপনি আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখুন,আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের নেক ইচ্ছা কবুল করবেন,ইনশাআল্লাহ। 
গুনাহ মুক্ত জীবন যাপনের চেষ্টা করুন,নামাজ সহ দৈনন্দিন অন্যায় ইবাদতে মশগুল হোন।

প্রয়োজনে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হোন।
বা কোনো হক্কানী শায়েখের দরবারে গিয়ে তার পরামর্শ মেনে চলুন।
নেককাদের সাহচর্য গ্রহন করুন।

গুনাহের সমস্ত সাইট গুলো বন্ধ করে দিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...