জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
‘গর্ভাবস্থায় তালাক পতিত হয় না’ এমন একটা কথা সাধারণ লোকদের মাঝে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু এটা নিতান্তই ভ্রান্ত এবং অজ্ঞতা পূর্ণ কথা। বরং গর্ভাবস্থায়ও তালাক পতিত হবে- এ ব্যাপারে আলেমদের মাঝে কোন দ্বিমত নেই।
গর্ভাবস্থায় তালাক দিলে সেই তালাক পতিত হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় তালাক দেওয়া জায়েজ আছে।
(ফাতাওয়ায়ে হিকমত ২/২১২)
,
তিরমিজি শরীফের ১১৭৬ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ فِي الْحَيْضِ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ لْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا أَوْ حَامِلاً " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَكَذَلِكَ حَدِيثُ سَالِمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ طَلاَقَ السُّنَّةِ أَنْ يُطَلِّقَهَا طَاهِرًا مِنْ غَيْرِ جِمَاعٍ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنْ طَلَّقَهَا ثَلاَثًا وَهِيَ طَاهِرٌ فَإِنَّهُ يَكُونُ لِلسُّنَّةِ أَيْضًا . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ تَكُونُ ثَلاَثًا لِلسُّنَّةِ إِلاَّ أَنْ يُطَلِّقَهَا وَاحِدَةً وَاحِدَةً . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَإِسْحَاقَ . وَقَالُوا فِي طَلاَقِ الْحَامِلِ يُطَلِّقُهَا مَتَى شَاءَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُطَلِّقُهَا عِنْدَ كُلِّ شَهْرٍ تَطْلِيقَةً .
সালিম (রাহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তার স্ত্রীকে হায়িয থাকা অবস্থায় তালাক দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উমার (রাঃ) এর বিধান জানতে চাইলেন। তিনি বললেনঃ তাকে তার স্ত্রীকে ফিরত নেওয়ার হুকুম দাও। অতঃপর সে যেন তাকে তুহরে (পবিত্র অবস্থা চলাকালে) অথবা গর্ভাবস্থায় তালাক দেয়।
(সহীহ, ইবনু মাজাহ (২০২৩), মুসলিম)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়েছে।
স্বামী যে স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা হলে তালাক দেয়ার পর স্ত্রীর মাকে ফোনে বলেছিলো,"আপনার মেয়েকে যা বলার বলে দিয়েছি, তবুও বলি, আপনার মেয়ের সাথে সংসার করা আমার পক্ষে সত্যিই আর সম্ভব না। পানি অনেকদূর গড়িয়ে গেছে, আপনার মেয়েকে আমি 'বাইন তালাক' দিলাম।"
এখানে বাইন তালাক দ্বারা স্বামীর কি উদ্দেশ্য ছিলো?
স্ত্রীকে দেয়া আগের তালাকের কথার খবর দেয়া? নাকি ২য় নাম্বার তালাক দেয়া?
যদি স্ত্রীকে দেয়া আগের তালাকের কথার খবর দেয়া উদেশ্য হয়,তাহলে এক্ষেত্রে স্ত্রীর উপর এক তালাক পতিত হবে।
আর যদি ২য় নাম্বার তালাক দেয়া উদ্দেশ্য হয়,তাহলে দুই তালাক পতিত হবে।
প্রশ্নের বিবরণ মতে যেহেতু স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়া হয়নি,তাই উক্ত স্বামী যদি সেই স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে ঘর সংসার করতে চাই,তাহলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে পারবে।
এক্ষেত্রে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নেয়ার পর তাদের ঘর সংসার বৈধ হবে।