আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। শায়খ প্রশ্নগুলো জানার জন্য।আমার কোন বিষয় নই।মনে হয় প্রশ্নগুলো আগেও কয়েকবার করেছি।আপনি সমস্যা হবে না বলেছিলেন।সন্দেহে দূর করার জন্য আবার করলাম প্রশ্ন।

১।ধরেন একটা মেয়েকে স্বামী মুখে বা লেখার মাধ্যমে যদি তালাকের পাওয়ার দেয়।কিন্তুু স্বামী বা স্ত্রীর কেউই জানে না ইসলামে মেয়েরা এই অধিকার পায়,যে সেটা।মনে করেন স্ত্রীও জানত না।কোনদিন ধরেন শুনেও নি।শুধু জানত আদালতের মাধ্যমে দেওয়া যায়।যদি স্ত্রী স্বামীকে বলে তুর সাথে সম্পর্ক নাই,যদি বলে তুই মুক্ত বা যদি বলে তুই আমার জন্য হারাম ইত্যাদি। স্ত্রী যদি রাগ করে বলে বা স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলে তাহলে কি সমস্যা হবে? স্ত্রী যদি নিজের দিকে ইন্গিত না করে বলে তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?কারন ধরেন স্ত্রী শুনেও নি  মেয়েরা নিজেদের তালাক দিতে পারে যে সেটা।ইন্গিত করলেও হয়ত স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বললে কি সমস্যা হবে?ওরা একসাথে থাকলে কি কোন সমস্যা হবে, মানে মনে মনে স্বামীর দিকে ইন্গিত করলে ?

আমি এই প্রশ্নগুলো মনে হয় আগেও করেছিলাম।দয়া করে একটু বলবেন।

২।এটাও জানার জন্য।আমার প্রশ্ন নই।ধরেন কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।কিন্তু ধরেন স্ত্রীর মা বা বাবার অমত সেই বিয়েতে।স্ত্রী যদি মা বা বাবাকে বলে আপনি যেটা চান সেটা হবে, সেটা হবে মানে সেটা করবে এমন বুঝিয়েছে মনে করেন।তহ মা যদি বলে বা চায় সেই বিয়েটা ভেন্গে দিতে বা চলে আসতে বা স্বামীকে ছেড়ে দিতে।স্ত্রী যদি না ছাড়ে বা নিজেকে তালাক না দেয় তাহলে কি মায়ের কথা দ্বারা কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় ইঙ্গিত সূচক শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ  


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য বলার সময় যেহেতু স্ত্রীর কোনো তালাকের নিয়ত ছিলোনা,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মায়ের কথার দ্বারা কোন সমস্যা হবেনা।
এতে তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
১।আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
কোন স্বামী স্ত্রী ধরেন কেনায়া তালাক সম্পর্কে কিছু জানত না।তহ কোন স্ত্রী সরাসরি তালাক না চেয়ে ধরেন ইন্গিতে তালাক চাইলে মেসেজে বা ফোনে।মানে সরাসরি তালাক না চাইলে স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হবে?স্বামী আর স্ত্রী ধরেন জানে না কেনায়া তালাক সম্পর্কে। শুনেও নি।

২।আর স্ত্রী ধরেন সরাসরি তালাক চাই নি।আর কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানত ও না স্বামী স্ত্রী। তহ সরাসরি তালাক চায় নি ধরেন মেসেজে।এমন কিছু কথা বলেছে যার দ্বারা,তালাক চাওয়া বুঝাতে পারে বা ইন্গিত বুঝাতে পারে।কিন্তুু ধরেন স্ত্রী এমনিতে রাগে বলেছে মানে রাগ উঠলে মনে আসে আর স্বামীর সাথে থাকতে পারবে না সংসার করতে পারবে না এমন মনে আসে কিন্তু পরে ঠিক হয়ে যায়,সব ভাল হয়ে যায়।।তহ তখন এভাবে ইন্গিতে বলার পর স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হবে?শুনেছি মেসেজে তালাক না চাইলে নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে স্বামী তাহলে তালাক হয় না।
by (569,520 points)
(০১)
তালাক হবেনা।

(০২)
তালাক হবেনা।
by (30 points)
edited by
১।কোন স্ত্রী  ধরেন তালাক চাই নি সরাসরি মেসেজে।এমন কথা বলতেছিল যে সে আর থাকবে না স্বামীর সাথে।মানে ইন্গিত সেইরকম করতেছিল।কিন্তু নিজেকেও তালাক দেয় নি স্ত্রী ।তহ তখন ধরেন স্বামী মনে হয় জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে।স্ত্রী জানত ধরেন তাই স্ত্রী তালাক চায় নি।কারন স্ত্রী কি করবে বুঝতেছিল না।। তহ তখন স্বামী নিয়ত ছাড়া যদি বলে কোনদিন যোগাযোগ করব না তুমাকে জ্বালাব না,কোনদিন ফোন করব না ইত্যাদি।কোনদিন খুজ নিব না তুমার।এসব কথা নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?তখন মনে হয় স্বামী জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে। তবে তখন স্ত্রী ধরেন জিগ্যেস করত কোন কথা কি তালাকের নিয়তে বলেছিলেন? স্বামী বলত না।এতটুকু জানত যে স্বামী।কিন্তু কেনায়া শব্দ কি কি বা কখন কখন বললে তালাক হতে পারে কিছু জানত না।স্ত্রী ও ধরেন তালাক চায় নি।তহ এমন কথার দ্বারা নিয়ত ছাড়া কি তালাক হয়?

২।উপরের প্রশ্নটা সেম আমার নই আমারটা একটু ভিন্ন।তহ প্রশ্নটা লেখার সময় যদি মনে মনে এমনটা ভেবে লেখি যে আমার প্রশ্ন।কিন্তু পরে ভাবি যে এটা তহ আমার প্রশ্ন নই এমনটা হয় নি আমার সাথে।আর প্রশ্ন করার সময় ও অন্য জনের  দিকে  ইন্গিত করে করেছি।তহ আমাকে স্বামী পাওয়ার  দিলে এই কমেন্টের ১নংপ্রশ্নটা করা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে বেৈবাহিক সম্পর্কে আমাদের? 

৩।আপনি বলেছিলেন মেসেজে তালাক চাওয়ার পর পর স্বামী কেনায়া বাক্য না বলে আরো কয়েকটা মেসেজের পর বললে নিয়ত ছাড়া তাহলে তালাক হয় না।ধরেন স্বামী স্ত্রী দূরে থাকে।তহ স্ত্রী যদি বলে আমাকে তালাক দাও,এখানে যখন আসবা মানে স্ত্রীর সাথে যখন দেখা করতে আসবে তখন তালাক দিতে বলে।স্বামী বলে ঠিক আছে তখন দিব।তহ এসব কথা হওয়ার পর পর কেনায়া শব্দ না বলে আরো কয়েকটা মেসেজের পর নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে কি তালাক হয়?তখন ধরেন স্বামী স্ত্রী কেও জানত না কেনায়া তালাকের ব্যপারে। এসব কি সেটা।পরে ধরেন সবকিছু ভাল হয়ে যায়।তাহলে কি তালাক হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...