আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
171 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্,

আমার আম্মুর সূচিবাই (ওসিডি) সমস্যা আছে যার জন্য পরিবারে অনেক অশান্তি হয়।সে সন্দেহবশত এক কাপড় বার বার ধোয়।আমরা কেউ বাহিরে থেকে ঘরে আসলে ওই কাপড় আম্মুর কাছে অপবিত্র মনে হয় তাই ওই কাপড় চেঞ্জ করে ঘরের কাপড় পরতে হয়, চেন্জ করার সময় অবশ্যই  ভেজা কাপড় পড়ে চেন্জ করতে হবে এমন নাইলে ঘরের কোনো কাপড় স্পর্শ করা যাবে না।

যদি বাইরে থেকে এসে ওই কাপড়ে(যেটা আম্মুর কাছে অপবিত্র)  ঘরের  কোনো কাপড় (যা আম্মুর কাছে পবিত্র)  স্পর্শ করি তাহলে যতগুলো কাপড় স্পর্শ করছি সব পরিস্কার সত্বেও আবার পানিতে ধুয়ে ফেলবে।
বাসায় মেহমান আসলে খুব সমস্যা হয় এ জন্য, যদিও মেহমানের সামনে কিছু করে না, মেহমান চলে গেলে তারা যা যা কাপড় স্পর্শ করে গেছে সব আবার ধুবে।

কাপড়গুলো শুধু পানি দিয়েই ভালো করে ধুবে, কোনো সাবান বা ডিটার্জেন্ট ছাড়া।
তার সমস্যা শুরু কাপড় নিয়ে।আব্বু এ বিষয়ে টুকটাক জানলেও কিছু বলে না কারণ আব্বুর সামনে এগুলো করতে পারে না ভয়ে কিন্তু আমাদের ৪ ভাই বোনের উপর খুব টর্চার হয়। আমি সবার বড় সেই জন্মের পর থেকে আজ আমার বয়স ২৫ বছর হলো এগুলো তাকে করতে  দেখতেছি।কেও তাকে বুঝায় পারেনি।তার নাকি এগুলো না করলে মনে অশান্তি কাজ করে।

কিন্তু একটা বিষয় অদ্ভুত যে, তার নামাজ, কুরআন তেলোয়াত বা কোনো আমল/ইবাদাত করতে কোনো সমস্যা নেই। তখন ঘরের বা বাইরের যে কোনো কাপড়ে ইবাদত (নামাজ) করতে তার কোনো সমস্যা নেই, সে নিজেও এভাবে নামাজ পড়ে, কুরআন তেলায়াত করে।

আরো অনেক সমস্যা হয় যেগুলো সব এখানে বলা যাচ্ছে না,  বাসাটা একটা টর্চার সেল হয়ে গেছে, আমরা সবাই ফেডআপ এভাবে আম্মুর সাথে আমার + বাকি ভাই বোনদের দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে।

আব্বুকে একবার অনেকটা বলেছিলাম এটা নিয়ে সে সমাধান না করে উল্টো আম্মুর উপর রেগে যায়।কিন্তু কোনো ভালো সমাধানের চেষ্টা করেনি।আমিও বেশিকিছু আব্বুকে বলতে যাই না যদি তাদের  দাম্পত্য জীবনে সমস্যা হয় + আম্মু জানলে খুব বকা খেতে হবে এই ভয়ে আব্বুকে সবটা বলতে যাই না।

১)এর কি কোনো সমাধান আছে। আমি কি করতে পারি?

২)শাইখ এমন কিছু হাদিস বলুন যেগুলো আম্মুকে শুনালে তার মধ্যে ভয় কাজ করবে+ তার মনের এই সন্দেহ, অশান্তি দূর হবে

৩)আম্মুর কি রুকাইয়া করব? নাকি মনবিজ্ঞানি দেখাবো?

দয়া করে আমাকে ভালো একটা উপায় বলে দিন।

জাজাকিল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি আপনার বাবার কাছে কোনো প্রকার নালিশ করবেন না।বরং আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকুন,যাতেকরে আপনাদের পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।

(২)
তাকে বলবেন, বেশী বেশী আল্লাহর যিকির করতে।কেননা আল্লাহর যিকির দ্বারাই মনে প্রশান্তি চলে আসে।

(৩)
আপনার মাকে মনোবিজ্ঞান ডাক্তার দেখাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 200 views
...