আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
আসসালামুআলাইকুম,সম্মানীত মুফতি সাহেব।

আমার একটা বিষয় জানার ছিল। লন্ডনের একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ হচ্ছে লন্ডনের ব্যবসায়িক অথবা ব্যক্তিগত ভাবে মানুষেদেরকে কার্ড মেশিন যা দিয়ে ক্রেডিট কার্ড, ডেভিড কার্ড ইত্যাদির বিল দেয় অইসব এর কার্ড মেশিন সরবরাহ করে। এছাড়াও তারা বিদ্যুৎ এর লাইন,গ্যাস,ওয়াইফাই এগুলাও সার্ভিস দেয়।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,তাদের একটা ব্রাঞ্চ সিলেটেও আছে।আর ওই সিলেটের অফিসে যারা চাকরি করে তাদের কাজ হচ্ছে লন্ডনের টাইমে রাতে অফিস করা।এক কথা তারা ক্লাইন্টদের কে কাস্টমারদেরকে ফোনে কথা বলে রাজি করায় তাদের সার্ভিস নেওয়ার জন্য।কিন্তু তারা প্রতিনিয়ত প্রত্যেকদিন যদি ১০০ টা কল করে অইসময় তাদেরকে বলতে হয় তারা লন্ডন থেকে কথা বলছে।এক কথায় লন্ডনের ওই অফিসে অবস্থান করতেছে আর আমি অমুক লন্ডনের কার্ড মেশিন কোম্পানি থেকে লন্ডন এর অমুক যায়গা থেকে কথা বলছি।

প্রত্যেকদিন চাকরিই হচ্ছে এরকম মিথ্যা হলে কাস্টমারকে কনভিন্স করা এবং মিটিং ফিক্স করে লন্ডনের অফিসের মানুষের কাছে দেয়া।

তারা যদি বলে সিলেট থেকে বলছে তাইলে কোন ভাবেই ক্লাইন্ট রা তাদের সাথে কথা বলবে না। আমার জানার বিষয় হচ্ছে,যদিও তারা লন্ডন থেকে অইসব সুবিধা গ্রাহক দের দিয়ে থাকে।

কিন্তু,কারো জন্য কি সিলেট এর অই অফিস থেকে মিথ্যা বলে ক্লাইন্ট এর সাথে কথা বলে এই চাকরি কি জায়েজ হবে?উল্লেখ্য এসব ১ টা ক্লায়েন্ট সিলেট থেকে কথা বলে রাজি করাতে পারলে এর উপরো ভাল কমিশন আছে।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)

ইমাম বাগাবী রাহ লিখেন,
" ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺍﻟﺨﻄﺎﺑﻲ : ﻫﺬﻩ ﺃﻣﻮﺭ ﻗﺪ ﻳﻀﻄﺮ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻓﻴﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﺯﻳﺎﺩﺓ ﺍﻟﻘﻮﻝ ، ﻭﻣﺠﺎﻭﺯﺓ ﺍﻟﺼﺪﻕ ﻃﻠﺒﺎً ﻟﻠﺴﻼﻣﺔ ﻭﺭﻓﻌﺎً ﻟﻠﻀﺮﺭ ،ﻭﻗﺪ ﺭﺧﺺ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺍﻷﺣﻮﺍﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻴﺴﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﺴﺎﺩ ، ﻟﻤﺎ ﻳﺆﻣﻞ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺡ ،
আবু সুলাইমান খাত্তাবী রাহ বলেছেন, কিছু বিষয় এমন রয়েছে যেথায় অনেক সময় ক্ষতি দূরকরণার্তে ও সুষ্ঠ সমাধান তলব করতে মানুষ কিছু বাড়িয়ে ও সত্য-মিত্যার সংমিশ্রণে কথা বলতে বাধ্য হয়, ।এমন পরিস্থিতিতে ইসলাহের আশা কিছু বিষয়ে সামান্য বেশকম করে মিথ্যা বলা জায়েয আছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/644

সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু লোকজনকে ধোকা দেওয়া বা ক্ষতি করা উদ্দেশ্য নয়,তাই এক্ষেত্রে এভাবে কথা বলাকে পরিস্কারভাবে হারাম বলা যাচ্ছে না। তবে এই পেশা উত্তম বলেও মনে হচ্ছে না। সুতরাং এত্থেকে ভালো মানের পেশাকে তালাশ করাই আপনার উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...