আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by
১. কেও মনে মনে কুফরী কথা বলে ফেললে কি সে কাফের হয়ে যায়?
২. মনে মনে কুফরি কথা বলার পরপর যদি তার খেয়াল আসে যে তার কথা তো কুফরী, সে কি কাফের হবে?

৩.বেখেয়ালি কুফরি কথা বলে ফেললে কি কাফের হবে?যদি খেয়াল হওয়ার সাথে সাথে তওবা করে?

৪. আজকে মুয়াবিয়া (রাঃ) নিয়ে ভাবছিলাম হঠাৎ মনে হলো এমন কি হতে পারে? উনি মৃত্যুর পূর্বে ইমান ত্যাগ করেছেন,(নাউজুবিল্লাহ)। পর পরেই মনে হলো আরে এটা কি ভাবছি উনি তো অনেক বড় সাহাবী এটা কেনো হতে যাবে এরকম সন্দেহ করা শুরু রাখলে তো নবী(সাঃ) এর উপর ও যে কেও বড় সন্দেহ করতে পারে(নাউজুবিল্লাহ)।  আসলে আমি বরাবর ই উনার সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখি উনি নবী (সাঃ) এর সম্মানিত সাহাবী...। তারপর আমি মনে মনে ভাবলাম এটা কুফর হলো কি না, পরে তওবা ও করলাম, এই ভাবনায় কি আমি কাফের হবো?

৫. কোনো মেয়ের যদি পিরিয়ড এর পর আজকে জুহরের সময় গোসল করে, তার কি ফজরের নামাজ পরা দরকার?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাকের ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয় না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
কেও মনে মনে কুফরী কথা বলে ফেললে, সে কাফের হবে না।
(২)মনে মনে কুফরি কথা বলার পরপর যদি তার খেয়াল আসে যে তার কথা তো কুফরী, তাহলেও সে কাফের হবে না।

(৩)বেখেয়ালি কুফরি কথা বলে ফেললেও সে কাফের হবে না, যদি খেয়াল হওয়ার সাথে সাথে তওবা করে।

(৪)
যেহেতু তাওবাহ করে নিয়েছেন, তাই কুফরি হবে না।

(৫)
ফজরের নামাযের ওয়াক্তের পর হায়েয বন্ধ হলে,ফজরের নামায পড়তে হবে না।কাযা করতে হবে না।নতুবা কাযা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...