বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1382 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﺗﻬﺎﺩﻭﺍ ﺗﺤﺎﺑﻮﺍ »
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা পরস্পর হাদিয়া দাও তবে তোমাদের পরস্পর মহব্বত সৃষ্টি হবে।(আল-আদাবুল মুফরাদ)ইরওয়াউল গালিল-৬/৪৪
হাফেয ইবনে আব্দুল বার রাহ বলেন,
[ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﺒﻞ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻭﻧﺪﺏ ﺃﻣﺘﻪ ﺇﻟﻴﻬﺎ، ﻭﻓﻴﻪ ﺍﻷﺳﻮﺓ ﺍﻟﺤﺴﻨﺔ ﺑﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ . ﻭﻣﻦ ﻓﻀﻞ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻣﻊ ﺍﺗﺒﺎﻉ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺃﻧﻬﺎ ﺗﻮﺭﺙ ﺍﻟﻤﻮﺩﺓً ﻭﺗُﺬﻫﺐ ﺍﻟﻌﺪﺍﻭﺓ ]
রাসূলুল্লাহ সাঃ হাদিয়াকে গ্রহণ করতেন,এবং হাদিয়া দিতে উম্মতকে উৎসাহ দিতেন।এতেই নিহিত রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উত্তম আদর্শ ও নমুনা।সুন্নাতের অনুসরণে হাদিয়ার তাৎপর্য হল যে,তা মহব্বত সৃষ্টি করে ও শত্রুতাকে দূর করে।(ফতহুল মালিক-৯/৩৫৮-৩৫৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কেউ একজন যদি হাসপাতালের বিল দিয়ে দেয়,তাহলে তা গ্রহণ করা সুন্নত। এখানে ঋণী হওয়ার প্রশ্ন আসবে কেন? সে সুন্নতের উপর আ'মল করেছে,আপনিও সুন্নতের উপর আ'মল করবেন।ভবিষ্যতে তাকেও আপনি হাদিয়া দিতে পারবেন।তবে এ হিসেবে নয়,যে সে আপনাকে দিয়েছে,বরং আপনি এমনিতেই তাকে কমবেশ কিছু দান করবেন।