আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
edited by
আমার স্ত্রী মারাত্মক ওয়াসওয়াসার রোগী। তালাকের মাসালা জানার পর থেকে সে সারাক্ষণ ওয়াসওয়াসায় থাকে।

আমি আমার স্ত্রীকে অধিকার দেই নাই তালাকের। কিন্তু আমার ভয় হয় কখনো কোনো কথার মাধ্যমে অধিকার দিয়ে ফেলেছিল কিনা।

শায়েখ, আমি কখনই চাই না আমার স্ত্রীকে অধিকার দিতে। আমি আগে জানতাম যে কাবিননামাতেই শুধু অধিকার দেওয়া যায়। কিছুদিন আগে যখন জানলাম মুখেও অধিকার দেওয়া যায় কোনো কথার মাধ্যমে তখন থেকেই ভয় হচ্ছে আগে ঝগড়ার সময় এমন কিছু বলেছি কিনা, তাই আমি অনেক চিন্তিত।

১. আমি আমার স্ত্রীকে একদিন বিরক্ত হয়ে ঝগড়ার সময় বলি "আমি বুঝতেছি, তুমি আমার সাথে থাকতে পারবা না"
আমার এই কথায় কি স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে? কত তালাকের কত সময়ের জন্য পাবে?

২. কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে, "তোমার জন্য এমন কেউ/ছেলে দরকার যে তোমার সব আশা, মনের ইচ্ছা পুরন করতে পারবে"। এই কথায় কি স্ত্রীকে অধিকার দেওয়া বুঝায়? কত তালাকের? কত সময়ের জন্য দেওয়া হবে?

৩. কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে "তোমার এইখানে বিয়ে না হয়ে অমুক জায়গায় বিয়ে হইলে ভালো হইত", "তোমার আরও ভালো জায়গায় বিয়ে হতে পারতো" এইসব কথায় কি স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়া বুঝায়?

৪. কেউ যদি ঝগড়ার মজলিশে স্ত্রীকে বলে "যাও অমুক কে বিয়ে কর" এই কথায় কত তলাকের মালিক হবে? সময়সীমা কত?

৫. মুখে অধিকার দেওয়া যায় জানার পর এখন শুধু পিছনের কথা গুলাই মনে পরছে তাকে কি কি বলেছিলাম। যা কখনও বলি নাই তা নিয়েও সন্দেহতে পরছি। দয়া করে এর থেকে বের হওয়ার সমাধান দিন।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাকের ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয় না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই/বোন!
১. আপনি আপনার স্ত্রীকে একদিন বিরক্ত হয়ে ঝগড়ার সময় বলিছেন "আমি বুঝতেছি, তুমি আমার সাথে থাকতে পারবা না, এমনেও বেশি দিন সংসার করতে পারবা না"।
আপনার এই কথায় স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।

২. "তোমার জন্য এমন কেউ/ছেলে দরকার যে তোমার সব আশা, মনের ইচ্ছা পুরন করতে পারবে"। এই কথায়  স্ত্রীকে অধিকার দেওয়া বুঝাবে না।

৩. কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে "তোমার এইখানে বিয়ে না হয়ে অমুক জায়গায় বিয়ে হইলে ভালো হইত", "তোমার আরও ভালো জায়গায় বিয়ে হতে পারতো" এইসব কথায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়া বুঝাবে না।

৪. কেউ যদি ঝগড়ার মজলিশে স্ত্রীকে বলে "যাও অমুক কে বিয়ে কর" এই কথায় স্ত্রী তালাকের মালিক হবে না।তালাক হবে না।

৫.
সন্দেহ দ্বারা কোনো হুকুম বাস্তবায়িত হয়না। সুতরাং আপনার অতীতের কোনো কথা দ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...