আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)

আসসালামু 'আলাইকুম 

স্কুল,কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে পড়লে অনেক সময় ছেলে-মেয়ে সবাইকে ম্যাসেনজার গ্রুপে অ্যাড থাকতে হয়। ক্লাস রুটিন,ক্লাস সিডিউল সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকসময় ম্যাসেনজার গ্রুপে শেয়ার করা হয়। কিন্তু মারাত্মক জরুরত ছাড়া হরহামেশা নন-মাহরামের ম্যাসেজে রিঅ্যাক্ট দেওয়া রিপ্লাই দেওয়া,মেনশন দিয়ে কথা বলা কতটুকু জায়েজ কিংবা কতটুকু তাক্বওয়ার পরিচায়ক?? 

✓কোনো ছেলে হেল্প চেয়ে গ্রুপে কিছু জানতে চাইলে তথ্য দিয়ে কিংবা অন্য উপায়ে প্রয়োজনীয় হেল্প করার জন্য অনেক ছেলে আছে যারা হেল্প করতে পারে। 

✓আবার কোনো মেয়ে হেল্প চাইলে বা কিছু জানতে চাইলে হেল্প করার মত অনেক মেয়েই আছে। একেবারেই মারাত্মক জরুরত(যেটা তাৎক্ষণিক হেল্প না করলে বিপদে পড়তে পারে) ছাড়া, ছেলে হয়ে মেয়েদেরকে কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলেদেরকে ম্যাসেজে রিপ্লাই দেওয়া, মেনশন দেওয়া কতটুকু জায়েজ কিংবা তাক্বওয়ার পরিচায়ক??

 আবার নন মাহরাম মেয়েদের,নন মাহরাম ছেলেদের ম্যাসেজে,পোস্টে,কমেন্টে রিঅ্যাক্ট(লাভ রিঅ্যাক্ট কিংবা হাহা রিঅ্যাক্ট বা অন্য রিঅ্যাক্ট) দেওয়া কতটুকু জরুরত এবং ইসলামি শারি'আহ'র দৃষ্টিভঙ্গি কি? জায়েজ আছে কি??

 

 বিদ্র: এভাবে কমেন্ট করা,ম্যাসেজে রিঅ্যাক্ট,রিপ্লাই, মেনশন দেওয়াটা ব্যক্তিমনে কিছুটা হলেও ভালোলাগা কাজ করে। একেবারে জরুরতে যদি কিছু জিজ্ঞেস করতেই হয় পড়াশুনা রিলেটেড যে কোনো ছেলে(ছেলেদের ক্ষেত্র) বা (মেয়েদের ক্ষেত্রে) মেয়ে নাই হেল্প করার,তখন সেটা হয়ত ভিন্ন বিষয়। কিন্তু হরহামেশা এরকম কার্যকলাপকে ইসলাম কিভাবে দেখে? দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মারাত্মক জরুরত ছাড়া হরহামেশা নন-মাহরামের ম্যাসেজে রিঅ্যাক্ট দেওয়া রিপ্লাই দেওয়া,মেনশন দিয়ে কথা বলা কখনো জায়েয হবে না। সকল ছাত্র ছাত্রীদের জন্য নারী পুরুষের পৃথক পৃথক গ্রুপ করার আবেদন ও আন্দোলন করা ওয়াজিব পর্যায়ের বিধান।সুতরাং সবাই আবেদন করবে।

✓কোনো ছেলে হেল্প চেয়ে গ্রুপে কিছু জানতে চাইলে তথ্য দিয়ে কিংবা অন্য উপায়ে প্রয়োজনীয় হেল্প করার জন্য অনেক ছেলে আছে যারা হেল্প করতে পারে। সুতরাং এক্ষেত্রে মেয়ারা জবাব দিতে পারবে না।জায়েয হবে না।

✓কোনো মেয়ে হেল্প চাইলে বা কিছু জানতে চাইলে হেল্প করার মত অনেক মেয়েই আছে। সুতরাং ছেলেদের জন্য তখন জবাব দেয়া জায়েয হবে না।একেবারেই মারাত্মক জরুরত(যেটা তাৎক্ষণিক হেল্প না করলে বিপদে পড়তে পারে) ছাড়া, ছেলে হয়ে মেয়েদেরকে কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলেদেরকে ম্যাসেজে রিপ্লাই দেওয়া, মেনশন দেওয়ার রুখসত রয়েছে।তবে না দেয়াই তাক্বওয়ার দাবী ও উত্তম।

 নন মাহরাম মেয়েদের,নন মাহরাম ছেলেদের ম্যাসেজে,পোস্টে,কমেন্টে রিঅ্যাক্ট(লাভ রিঅ্যাক্ট কিংবা হাহা রিঅ্যাক্ট বা অন্য রিঅ্যাক্ট) দেওয়ার কোনো জরুরত নাই। এবং এটা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...