আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
302 views
in সালাত(Prayer) by (72 points)
শায়খ
ওযু করে এসে তাহিয়্যাতুল ওযু ও যুহরের ২ রাকাত সুন্নত নামাযের নিয়তে নামাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু কোনো কারণে নামাজ ভেঙে দিতে হয়েছে। আমার ওযু ছিল। এরপর আবার তাহিয়্যাতুল ওযু ও সুন্নতের নিয়ত করে নামাজ পড়ে নিয়েছি। আমার নামাজ কি হয়ে গিয়েছে?
নাকি তাহিয়্যাতুল ওযু পড়ার জন্য আবার ওযু করে নিতে হতো?

JajakAllah Khairan..

1 Answer

0 votes
by (698,910 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাহিয়্যাতুল অজুর দুই রাকাত নামায হল নফল বা মুস্তাহাব।
https://www.ifatwa.info/8219 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তাহিয়্যাতুল ওজুঃ-
আদ্দুর্রুল মুখতার(২/২২) গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে,
في الدرالمختار ،ج:٢ ص:٢٢
(وَنُدِبَ رَكْعَتَانِ بَعْدَ الْوُضُوءِ) يَعْنِي قَبْلَ الْجَفَافِ كَمَا فِي الشُّرُنْبُلَالِيَّة عَنْ الْمَوَاهِبِ
ওজুর পর ওজুর পনি শুকানোর পূর্বে দুই রা'কাত নামায পড়া মুস্তাহাব।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
তাহিয়্যাতুল অজু এবং সুন্নত একাধিক নিয়তে নামায পড়ার কোনো নিয়ম নাই। বরং আপনি তাহিয়্যাতুল অজুর নিয়তে পৃথক দু'রাকাত এবং সুন্নতের নিয়তে পৃথক দু'রাকাত বা চার রা'কাত পড়বেন।

আপনার বিবরণমতে
আপনি নামায ভঙ্গ করার পর পৃথকভাবে দু'রাকাত তাহিয়্যাতুল অজু পড়ে নিবেন।তারপর সুন্নত পড়ে নিবেন।এভাবে পড়ে নিলে নামায বিশুদ্ধ হবে। নতুবা বিশুদ্ধ হবে না।

হ্যা, অজু করার পর কেউ সুন্নত পড়ে নিলে, তখন আর নতুন করে তাহিয়্যাতুল অজু পড়তে হয়না কেননা তখন ঐ সুন্নত তাহিয়্যাতুল অজুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 385 views
0 votes
1 answer 201 views
...