ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4506 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।যেমন,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি প্রদান করলে,স্ত্রী নিজেকে তালাক দিতে পারবে।তাছাড়া স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।কিংবা স্বামী নিখোঁজ হলে বা ধ্বজভঙ্গ হলে কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের রায় দিতে পারবে।
স্বামীর খোঁজখবর না থাকলে স্ত্রী চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।চার বছর অপেক্ষার পরও যদি স্বামীর কোনো খোঁজখবর না মিলে,কোর্ট স্বামীর পক্ষ্য থেকে বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে।স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।তালাক দেয়ার অধীকার স্ত্রীর নেই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
"তোমাকে এখনও অন্য কোথাও বিয়ে দেওয়া যাবে। তুমিতো ভার্জিন এখনো। অন্য কোথাও বিয়ে হইলে বলে দিও তুমি এখনো সহবাস কর নাই"
এই কথা দ্বারা স্ত্রী তালাকের মালিক হবে না।
(২)
হাজার বার বললেও স্ত্রী তালাকের মালিক হবে না।
(৩)
"আমি মরে গেলে তুমি বিয়ে করে নিও"- এই কথা ফালতু।কেননা আপনার মৃত্যুর পর ইদ্দত অতিবাহিত করার পর স্ত্রী যে কোনো খানে বিয়ে বসতে পারবে।এতেকরে আপনার অনুমতির কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। এবং এই কথা দ্বারা স্ত্রী বর্তমানে তালাকের মালিক হবে না।
(৪)
এমতাবস্থায়ও স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।
(৫)
"তুমি অন্য কোথাও বিয়ে করতে পারবা" "তুমি অন্য কাউকে খুঁজে নাও" এ দু'টি বাক্য সমান নয়।দ্বিতীয় বাক্যটি দ্বারা তালাকের নিয়ত করলে কেনায়া তালাক হবে।কিন্তু প্রথম বাক্য দ্বারা তালাক হবে না।
(৬)
"আমি মরে গেলে তুমি বিয়ে করে নিও"- এই কথায় স্ত্রী তালাকের মালিক হবে না।