আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
১.আসসালামু আলাইকুম। হুজুর ইউটিউবে এক হুজুরের  ভিডিও তে  দেখলাম যে,  ইমাম আবু ইউসুফ (রহ) তার বইয়ে লিখেছেন যে,     কেউ যদি রাসুল সাঃ এর হাদিস বর্ননা করে যে,  রাসুল সাঃ লাউ খেতে পছন্দ করতেন। তখন কেউ  সাথে  যদি  বলে যে আমি লাউ পছন্দ করি না। তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।  এখন আমার প্রশ্ন হল-

১.হুজুর অনেক  দিন হবে  একটি ভিডিও তে এক শায়খের আলোচনা তে দেখেছিলাম  যে, রাসুল সাঃ লাউ খেতে পছন্দ করতেন। তখন আমি মনে মনে ভাবি যে,  তখন  কি লাউ জন্মাত। অই রকম জায়গায় বা অই রকম মাটিতে  কি লাউ জন্মাত। হুজুর এই রকম প্রশ্ন মনে আসার দারা  আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি বিভিন্ন সময়  এমনি গল্প করতাম লাউ খেতে আমার ভালো লাগে না। এর দারা কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
২. হুজুর খেজুর খেতে আগে ওভাবে পছন্দ করতাম না। কিন্তু কেউ যদি বলে যে,  খেজুর খাওয়া সুন্নাত তখন আমি খেজুর পছন্দ করি না বলেছিলাম নাকি আমার মনে নেই। এর দারা কি আমার  কোন সমস্যা  হবে কি?
৩.হুজুর লাউ খাওয়া নিয়ে আপনাকে যে প্রশ্নটা করলাম, যেহেতু এখানে আমি  এক সাথে হাদিসের কথাও বল্লাম আবার আমি অন্য সময়   অই সব্জি খাওয়া নিয়ে   কি বলতাম তাও বল্লাম। এই একসাথে বলার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?
৪.হুজুর আমি রাত্রে বৃষ্টির সময় দোয়া করতেছিলাম, তখন আমি বলি যে, হে আরশের মালিক বলে  একটি দোয়া করি।  তখন আমার মনে হয় আমি কিছু ভুল বল্লাম নাকি বা কিছু ভুল হল নাকি। তখন আমি গুগলে সার্চ দেই, হে আরশের মালিক লিখে। অন্য কেউ এভাবে দোয়া করছে নাকি তা দেখার জন্য বা কুরানের কোন আয়াত বা হাদিস আছে নাকি তা জানার জন্য। এবং আমি আরশ সম্নধেও সার্চ দেই। এই সম্নধে গুগলে সার্চ দেয়ার কারনে  বা এই রকম ভাবার কারনে আমার ঈমানের কোন  সমস্যা হবে কি।
৫.হুজুর আমি ছোট বেলায় নামাজ পরতাম। কিন্তু মাঝখানে নামাজ ওভাবে পরতাম। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বিয়ের আগে থেকে প্রায় দুই বছর হবে নিয়মিত নামাজ পরি। এখন আমার মনে হচ্ছে যখন থেকে নিয়মিত নামাজ পরি তখন তওবা করেছিলাম নাকি মনে নেই। হুজুর তখন যদি আমি তওবা না করি তাহলে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি। আমার বিয়ের কোন সমস্যা  হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
লাউ খাওয়া শরীয়তের কোনো আবশ্যকীয় বিধান নয়।
কেউ এটিকে পছন্দ না করলে ঈমান চলে যাবেনা।

প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ যে মতের কথা উল্লেখ করেছেন,এটির উপর ফতোয়া নয়।)

(০২)
এর দ্বারা কি আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এই সংক্রান্ত গুগলে সার্চ দেয়ার কারনে  বা এই রকম ভাবার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...