জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
স্ত্রী, মেয়ে এবং নাবালিগ ছেলের ভরনপোষণ এর দায়ীত্ব স্বামীর উপর ওয়াজিব।
যথাযথ হক আদায় না করলে গুনাহগার হবে।
হযরত জাবির রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
তোমরা স্ত্রীদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। কারণ তারা তোমাদের আশ্রিতা, তাদের তোমরা গ্রহণ করেছ আল্লাহর নিরাপত্তা দ্বারা এবং তাদের লজ্জাস্থানকে হালাল করেছ আল্লাহর কালিমা দ্বারা। তাদের স্বাভাবিক খোরপোষ তোমাদের উপর অপরিহার্য। -সহীহ মুসলিম ২/৮৮৯-৮৯০
হযরত আমর ইবনুল আহওয়াস রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
সাবধান, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের উপর রয়েছে কিছু অধিকার, আর তোমাদের স্ত্রীদের জন্যও তোমাদের উপর রয়েছে কিছু অধিকার। তোমাদের অধিকার এই যে, স্ত্রীরা কোনোভাবেই তোমাদের বিছানায় এমন কাউকে পদার্পণের সুযোগ দিবে না, যাকে তোমাদের পছন্দ নয়। এবং তোমাদের ঘরে এমন কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিবে না, যাকে তোমাদের অপছন্দ।
সাবধান, তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, খোরপোষের বিষয়ে তাদের প্রতি সদাচার করবে।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৮৫১
★হিন্দ বিনতে উতবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আবু সুফিয়ান একজন কৃপণ লোক। সে আমার ও আমার সন্তানের প্রয়োজনীয় খোরপোষ দেয় না। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন-
নিজের ও সন্তানের স্বাভাবিক প্রয়োজন পরিমাণ খোরপোষ তুমি নিতে পার।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৩৬প্ত সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৩/১৩৩৮
এই হাদীস থেকে বোঝা যায়, স্ত্রী-সন্তানের ভরণ-পোষণ স্বামীর অবশ্য-কর্তব্য এবং এটি তাদের প্রাপ্য। এ কারণেই স্বামীর অগোচরে হলেও আবু সুফিয়ান রা.-এর স্ত্রীকে তা নিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
,
★*সুতরাং উক্ত হাদীসের আলোকে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মা যেহেতু অতিব প্রয়োজনীয় কাজের জন্য (যেসব কাজে শরীয়ত অনুমোদন দেয়,স্বসব কাজে) আপনার বাবা থেকে অগোচরে টাকা নিতে পারবে,তাহলে অন্য একটি মিথ্যা কথা বলেও টাকা নিতে পারবে।
কারন জালেমের জুলুম থেকে বাঁচার জন্য,এবং নিজ অধিকার আদায়ের জন্য মিথ্যা বলা যায়।