আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (9 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
শায়েখ!

 ১)কোনো মেয়ের জন্য তার মা কিংবা বাবার মামা, চাচা কী মাহরাম না গায়রে মাহরাম? আমি আগে জানতাম গায়রে মাহরাম কিন্তু কিছুদিন আগে নিচের দেওয়া রেফারেন্সে দেখলাম মাহরাম -
কিতাবুল আছল ৪/৩৫৮;ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩৬০;বাদায়েউস সানায়ে ২/৫৩০;ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৭৩।

২)চট্টগ্রামে একটা প্রচলন আছে,সেটা হচ্ছে -আশুরার দিন প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ৭ রকমের বা এর বেশি ধরণের বিচি/দানা দিয়ে ভাত রান্না করা হয়।অনেকটা পোলাওয়ের মতো।এটা প্রতি বছর নিয়ম করে আশুরার দিন রান্না করা হয়।এবং যুক্তি দিয়ে বলে যে,যিহাদে যাওয়ার আগে ইমাম হাসান-হোসাইন রা নাকি এরকম ভাত খেয়ে যিহাদে গিয়েছেন,,,আমার প্রশ্ন হলো এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
৩)চট্টগ্রামে আরেকটা প্রচলিত নিয়ম আছে,সেটা হলো,এখানে  বিশেষ কোনো দিন যেমন--শবে বরাত,শবে ক্বদর বা বাড়ির কোনো লোকের মৃত্যু দিবস বা অনেক সময় রাসুল ﷺ এর নামে মুরগি রান্না করে ফাতেহা দেয়া হয়।(ফাতেহা-এক গ্লাস পানিতে এলাকার হুজুরের কাছ থেকে দোয়া পড়িয়ে ফুঁ দেয়া।এবং যার নামে ফাতেহা দেয়া হয় তার জন্য দোয়া করা হয় বা কখনো করা হয় না।)

উল্লেখ্য, ফাতেহা দেয়ার নিয়ত থাকলে ফাতেহা দেয়ার আগ পর্যন্ত ওই তরকারি কেউ খায় না,সাধারণত।
আমার প্রশ্ন --ইসলামে কি ফাতেহা/ফাতিয়া বলে এরকম কোনো নিয়ম আধও আছে?
জাঝাকাল্লাহ খাইরন।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/11921/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
যে ১৪জন মাহরাম (পুরুষের জন্য হোক বা মহিলার জন্য হোক)তাদের আলোচনা করে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﺣُﺮِّﻣَﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺃُﻣَّﻬَﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺧَﻮَﺍﺗُﻜُﻢْ ﻭَﻋَﻤَّﺎﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺧَﺎﻻَﺗُﻜُﻢْ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕُ ﺍﻷَﺥِ ﻭَﺑَﻨَﺎﺕُ ﺍﻷُﺧْﺖِ ﻭَﺃُﻣَّﻬَﺎﺗُﻜُﻢُ ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ 
  ﺃَﺭْﺿَﻌْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺧَﻮَﺍﺗُﻜُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﺮَّﺿَﺎﻋَﺔِ ﻭَﺃُﻣَّﻬَﺎﺕُ ﻧِﺴَﺂﺋِﻜُﻢْ ﻭَﺭَﺑَﺎﺋِﺒُﻜُﻢُ ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ ﻓِﻲ ﺣُﺠُﻮﺭِﻛُﻢ ﻣِّﻦ ﻧِّﺴَﺂﺋِﻜُﻢُ ﺍﻟﻼَّﺗِﻲ ﺩَﺧَﻠْﺘُﻢ ﺑِﻬِﻦَّ ﻓَﺈِﻥ ﻟَّﻢْ ﺗَﻜُﻮﻧُﻮﺍْ ﺩَﺧَﻠْﺘُﻢ ﺑِﻬِﻦَّ ﻓَﻼَ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﺣَﻼَﺋِﻞُ ﺃَﺑْﻨَﺎﺋِﻜُﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﻼَﺑِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﺠْﻤَﻌُﻮﺍْ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻷُﺧْﺘَﻴْﻦِ ﺇَﻻَّ ﻣَﺎ ﻗَﺪْ ﺳَﻠَﻒَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।{সুরা নিসা-২৩}
আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/2722

★সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবা মায়ের আপন মামা-চাচা মাহরামের অন্তর্ভূক্ত। তবে বাবা মায়ের আপন মামা-চাচা না হলে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত হবে না


(০২)
এগুলো যুক্তি সঙ্গত কাজ নয়।
ছাহাবায়ে কেরাম,ও খায়রুল কুরুনের কেহই এমন কাজ করেননি,তাই এটি বিদ'আত।

(০৩)
ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই।
এ সবই বিদ'আতের অন্তর্ভুক্ত। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ, রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

আরেক হাদীসে আছে-

مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...