অন্যের সম্পদ তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিধায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
ধোঁকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং যে কাউকে ধোঁকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১৪৬)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়তের বিধান মতে অন্যের ওয়াইফাই বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।
এটি তো আপনার মালিকানাধীন নয়,তাই এক্ষেত্রে ব্যাক্তি আপনার দাদার হক নষ্ট করছে,আপনার নয়।
হ্যাঁ যদি আপনার দাদা জমি ফিরিয়ে তাকে আহবান করার পরেও সে তাহা ফিরিয়ে না দিলে সেক্ষেত্রে আপনার দাদা যদি আপনাকে বলে যে সে আমার জমি অন্যায় ভাবে ভোগ করতেছে,সুতরাং তুমি তার ওয়াইফাই ব্যবহার করো,তাহলে আপনি তার ওয়াইফাই এভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।