একসময় বাংলা ভাষাভাষী নিম্নকোটির মুসলিম নারী-পূরুষ বিশষত নারীদের মধ্যে মকসুদোল মো‘মেনীন গ্রন্থটির প্রভাব অপরিসীম ছিলো।ছোটকাল থেকেই বইটি আমার আম্মার বুক সেলফে দেখতাম, হয়ত বিয়েতে গিফট হিসাবে প্রাপ্ত হয়েছিলেন। এরকম গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ ইসলামিক স্বল্পশিক্ষিত মুসলিম দম্পতির ভান্ডারেই এই গ্রন্থটি সংরক্ষিত আছে। এবার কুরআন-সুন্নাহর মানদন্ডে বইটিকে একটু নিরূপন করি। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, আজকের বাংলাদেশে হাদীস-ফিক্বহ ইত্যাদি চর্চা অতীতের থেকে অনেকগুন বেড়েছে। মাদ্রাসা-ইসলামিক রিচার্স সেন্টার এবং উলামা-মুফতি,মুহাদ্দিস সাহেবদের সংখ্যা ঈর্ষান্বিতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখন বাংলাদেশের উলামা থেকে নিয়ে ইসলামিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ জেনারেল ভাই-বোনদের কর্তৃক লিখিত, অনুদিত ; বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের জন্য কোরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক প্রাঞ্জল রেফারেন্স সম্বলিত বই ইসলামিক লাইব্রেরীগুলোতে প্রচুর বিদ্যমান। (আর প্রশ্নকারীও একটি সীরাহ এর কিতাব সংকলন করেছেন, যদিও আমি এখনো প্রাপ্ত হয়নি)।
প্রশ্নোল্লিখিত বইটি যে সময়, যে পরিবেশে মুসলিমদের মধ্যে স্থান লাভ করেছিলো, তখন আমাদের দেশে বাংলা (বা পাঠকদের নিকট বুঝতে সাবলীল) অনূদিত কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক কোন বই রচিত হয়নি বললে ভূল হবে না।তখনকার বিজ্ঞ উলামাদের দ্বারা যা হয়েছিলো তা অধিকাংশ ছিলো আরবী, উর্দূ ইত্যাদি ভাষায়। তাই এখনকার পরিস্থিতিতে বইটি থেকে পাঠককে অনুৎসাহিত করাই কাম্য। এটাই মত দিয়েছেন সাম্প্রতিক কালের আমাদের বিজ্ঞ আলেমরা।
‘‘বইটিতে যথেষ্ট জাল, অনির্ভরযোগ্য রেওয়ায়াত বা কথা রয়েছে, যা কুরআন-হাদীসের মানদন্ডে প্রত্যাখ্যাত। তাই বইটি না পড়াই উত্তম। আল্লাহ লেখকের ভূল ত্রুটিকে ক্ষমা করুন। এবং আমাদেরকে বেদআত, মনগড়া আমাল থেকে হেফাযত করুন। আমীন
উত্তর প্রদানে
আরিফুল ইসলাম
ফিক্বহ ডি. আই ও এম।