হুজুর আগে আমি ঈমান ভংগের কারন জানতাম না। এক মাসের বেশি হবে ঈমান ভংগের কারন জানি। ঈমান ভংগের কারন জানার পর বিভিন্ন প্রশ্ন আমার মনে জাগে। তখন কয়েকটি মুফতির কাছে যাই গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করি। দুই দিন আগে অনলাইনে একজন মুফতি সাহেব কে কয়েকটি প্রশ্ন করি তার সারমর্ম হল - কেউ যদি না জানার কারনে শিরকে আকবর, কুফরি, কুফরি কোন কথা, কুফরি কোন বিশ্বাস করে তাহলে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? তার উত্তরে তিনি বলেন যে, জানার সাথে সাথে তওবা করতে হবে। জানার পরও তওবা না করলে ঈমান ভংগ হবে।এখন আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে ঈমান ভংগের কারন জানার পর তওবা করেছিলাম কি না ।
১.হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পর আমি খুব অনুতপ্ত হই। খুব ভেঙে পড়ি। কারন ঈমান ভংগ হলে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়। চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকতে হবে। বিবাহ ভেঙে যায়। আমি মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি আমি আর ঈমান ভংগের কারন করব না। কিন্তু তখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইছিলাম নাকি মনে নেই। কিন্তু আমি আগে থেকে নামাজে দোয়া করি, আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি এই ইস্তিগফার পড়ি, সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার পড়ি, সগিরা,কবিরা,জাহেরি, বাতেনি গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে মাফ চাই। হুজুর আমার মনে কোন প্রশ্ন জাগলে , আমার মনে হত ঈমান ভংগ হল নাকি, ঈমান ভংগ হলে তো বিবাহ ভংগ হবে। এইজন্য তাহাজ্জুদ নামাজ বা ফরজ নামাজে দুয়া করতাম আল্লাহ ঈমান যেন ভংগ না হয়। কিন্তু আগে ঈমান ভংগের কোন কাজের কারনে আল্লাহর কাছে খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই। হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পরও যদি আল্লাহর কাছে অই বিষয়ে খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই। তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি সকাল সন্ধ্যা সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার পড়ি।
২.হুজুর আমি অই মুফতি সাহেব বলার পর, তাহাজ্জুদ নামাজে, আগে ঈমান ভংগের কোন কারন করে থাকলে আল্লহর কাছে খমা চাই। ঈমান ভংগের কারন জানার পর ঈমান ভংগের কোন কাজ আমি করবনা এটা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ছিল। কিন্তু আল্লাহর কাছে খমা চেয়েছিলাম নাকি আমার সন্দেহ হচ্ছে। এম্নিতে নামাজে আমি আল্লাহর কাছে পাপের জন্য খমা চাই। হুজুর এই যে আমি একমাসের বেশি সময় ধরে ঈমান ভংগের কারন জানার পরও শিরকে আকবর, কুফরি কোন কাজ বা হাদিসের বিষয়ে কোন সন্দেহ ইত্যাদি যদি করে থাকি। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় পর আল্লাহর কাছে খমা চাইলাম।এর কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? যেহেতু ঈমান ভংগের কোন কাজ পুর্বে করে থাকলে জানার সাথে সাথে তওবা করতে হয়। জানার পর আমি অই কাজ আর করব না এটা আমার দ্রিড় প্রতিজ্ঞা ছিল। কিন্তু তখন এই বিষয় নিয়ে আল্লাহর কাছে খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই।
৩.হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পর আমি বিভিন্ন মুফতির কাছে যাই। তারা বলে আগে কি করছেন তার জন্য তওবা করেন। আমি তখন অই কাজ করব না এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কিন্তু তখন খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই। আমি তাহাজ্জুদ নামমাজে এবং ফরজ নামাজে আমার পাপের জন্য খমা চাই আল্লাহর কাছে। কিন্তু অই বিষয়ে খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই। যদি তখন খমা না চাই এতদিন পর খমা চাইলে কি আমার তওবা কবুল হবে? ইস্তিগফার পড়ি। কিন্তু অই বিষয়ে ওভাবে ভাবিনি। কারন আমি মনে করেছি আমি তো অই কাজ আর করব না। তাই হুজুরেরা যখন তওবা করতে বলে আমি তখন ওভাবে ভাবিনি। কারন অই কাজ তো আর করব না।