আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
হুজুর আগে আমি ঈমান ভংগের কারন জানতাম না। এক মাসের বেশি হবে ঈমান ভংগের কারন জানি। ঈমান ভংগের কারন জানার পর বিভিন্ন প্রশ্ন আমার মনে জাগে। তখন কয়েকটি মুফতির কাছে যাই গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করি। দুই দিন আগে অনলাইনে একজন মুফতি সাহেব কে কয়েকটি প্রশ্ন করি তার সারমর্ম হল - কেউ যদি না জানার কারনে শিরকে আকবর, কুফরি, কুফরি কোন কথা, কুফরি কোন বিশ্বাস করে তাহলে তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? তার উত্তরে তিনি বলেন যে,  জানার সাথে সাথে তওবা করতে হবে। জানার পরও তওবা না করলে ঈমান ভংগ হবে।এখন আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে     ঈমান ভংগের কারন জানার পর  তওবা করেছিলাম কি না ।

১.হুজুর ঈমান ভংগের কারন   জানার পর আমি খুব অনুতপ্ত হই। খুব ভেঙে পড়ি। কারন ঈমান ভংগ হলে মানুষ  ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়। চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকতে হবে। বিবাহ ভেঙে যায়। আমি মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি আমি আর ঈমান ভংগের কারন করব না। কিন্তু তখন  আল্লাহর কাছে  ক্ষমা  চাইছিলাম নাকি মনে নেই। কিন্তু আমি  আগে থেকে নামাজে দোয়া করি, আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি এই ইস্তিগফার পড়ি, সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার পড়ি, সগিরা,কবিরা,জাহেরি, বাতেনি গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে মাফ চাই। হুজুর  আমার মনে কোন প্রশ্ন জাগলে , আমার মনে হত ঈমান ভংগ হল নাকি, ঈমান ভংগ হলে তো বিবাহ ভংগ হবে।  এইজন্য তাহাজ্জুদ নামাজ বা ফরজ নামাজে দুয়া করতাম আল্লাহ ঈমান যেন ভংগ না হয়। কিন্তু আগে ঈমান ভংগের কোন কাজের কারনে আল্লাহর কাছে খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই। হুজুর ঈমান ভংগের  কারন  জানার পরও যদি  আল্লাহর কাছে অই বিষয়ে  খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই। তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি সকাল সন্ধ্যা সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার পড়ি।

২.হুজুর আমি অই মুফতি সাহেব বলার পর,  তাহাজ্জুদ নামাজে, আগে ঈমান ভংগের কোন কারন করে থাকলে আল্লহর কাছে খমা চাই। ঈমান ভংগের কারন জানার পর ঈমান ভংগের কোন কাজ  আমি করবনা এটা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ছিল। কিন্তু আল্লাহর কাছে খমা চেয়েছিলাম নাকি আমার সন্দেহ হচ্ছে। এম্নিতে নামাজে আমি আল্লাহর কাছে পাপের জন্য খমা চাই। হুজুর এই যে আমি একমাসের বেশি সময় ধরে ঈমান ভংগের কারন জানার পরও শিরকে আকবর,  কুফরি কোন কাজ  বা হাদিসের  বিষয়ে কোন সন্দেহ ইত্যাদি যদি করে থাকি।          কিন্তু এক মাসের   বেশি সময় পর আল্লাহর কাছে খমা চাইলাম।এর কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? যেহেতু ঈমান ভংগের কোন কাজ পুর্বে করে থাকলে  জানার সাথে সাথে তওবা করতে হয়। জানার পর আমি অই কাজ আর করব না এটা আমার দ্রিড় প্রতিজ্ঞা ছিল। কিন্তু  তখন এই বিষয় নিয়ে আল্লাহর কাছে খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই।
৩.হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পর আমি বিভিন্ন মুফতির কাছে যাই। তারা বলে আগে কি করছেন তার জন্য তওবা করেন। আমি তখন অই কাজ করব না এটা আমার  দৃঢ়   বিশ্বাস। কিন্তু তখন খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই। আমি তাহাজ্জুদ নামমাজে এবং ফরজ নামাজে আমার পাপের জন্য খমা চাই আল্লাহর কাছে। কিন্তু অই বিষয়ে খমা চেয়েছিলাম নাকি মনে নেই। যদি তখন খমা না চাই এতদিন পর খমা চাইলে কি আমার তওবা কবুল হবে? ইস্তিগফার পড়ি। কিন্তু অই বিষয়ে ওভাবে ভাবিনি। কারন আমি মনে করেছি আমি তো অই কাজ আর করব না। তাই হুজুরেরা যখন তওবা করতে বলে আমি তখন ওভাবে ভাবিনি। কারন অই কাজ তো আর করব না।

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


ভূলে শিরকে পতিত হওয়ার পর বনি ইসরাঈলের এক ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দিয়েছিলেন,

হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " كَانَ رَجُلٌ يُسْرِفُ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ المَوْتُ قَالَ لِبَنِيهِ: إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَحْرِقُونِي، ثُمَّ اطْحَنُونِي، ثُمَّ ذَرُّونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَيَّ رَبِّي لَيُعَذِّبَنِّي عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ أَحَدًا، فَلَمَّا مَاتَ فُعِلَ بِهِ ذَلِكَ، فَأَمَرَ اللَّهُ الأَرْضَ فَقَالَ: اجْمَعِي مَا فِيكِ مِنْهُ، فَفَعَلَتْ، فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: يَا رَبِّ خَشْيَتُكَ، فَغَفَرَ لَهُ " وَقَالَ غَيْرُهُ: «مَخَافَتُكَ يَا رَبِّ»

তিনি বলেন, পূর্বযুগে এক লোক তার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছিল। যখন তার মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এলো, সে তার পুত্রদেরকে বলল, মৃত্যুর পর আমার দেহ হাড় গোশতসহ পুড়িয়ে ছাই করে নিও এবং প্রবল বাতাসে উড়িয়ে দিও। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ্ আমাকে ধরে ফেলেন, তবে তিনি আমাকে এমন কঠিনতম শাস্তি দিবেন যা অন্য কাউকেও দেননি। যখন তার মওত হল, তার সঙ্গে সে ভাবেই করা হল। অতঃপর আল্লাহ্ যমীনকে আদেশ করলেন, তোমার মাঝে ঐ ব্যক্তির যা আছে জমা করে দাও। যমীন তা করে দিল। এ ব্যক্তি তখনই দাঁড়িয়ে গেল। আল্লাহ্ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিসে তোমাকে এ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করল? সে বলল, হে, প্রতিপালক তোমার ভয়। অতঃপর তাকে ক্ষমা করা হলো। অন্য রাবী مَخَافَتُكَ  স্থলে خَشْيَتُكَ  বলেছেন।(সহীহ বুখারী-৩৪৮১)
(৭৫০৬, মুসলিম ৪৯/৪ হাঃ ২৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩২)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান ভেঙ্গে যাবেনা।
আপনি মুমিন রয়েছেন,আলহামদুলিল্লাহ। 

অনুরোধ থাকবে,ভবিষ্যতে কুফরি কোনো কথা/কাজ কোনোভাবেই করবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...