আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
500 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (0 points)
আমার এক বন্ধুর প্রশ্ন সরাসরি তুলে ধরছি।

"যদি কারো স্বপ্নদোষ হয়,আর এই হওয়ার মাঝে দিয়ে তার ঘুম ভেঙে যায়,তাইলে কি তার দায়িত্ব ইন্সট্যান্ট ওইটা বন্ধ করার চেষ্টা করা?যদি সে নরমালি থাকে,যা হচ্ছে হইতে দেয়,কোন আলাদা কিছু না করে(মানে থামাতে চেষ্টা না করে),তাইলে কি সে গুনাহগার?"

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বপ্নদোষ হলো প্রাকৃতিক চাহিদা,মানবীয় চাহিদা।
এটার উপর মানুষকে কোনো প্রকারের ধরপাকড় করা হবেনা।
কারন ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষের কোনো কাজের মুয়াখাযা (ধরপাকড়) নেই।

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ المُبْتَلَى حَتَّى يَبْرَأَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَكْبُرَ 
আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক, যতক্ষণ না বালেগ হয়।
(আবু দাউদ ৪৩৯৮)
,
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مُرَّ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِمَعْنَى عُثْمَانَ، قَالَ: أَوَ مَا تَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ، عَنِ الْمَجْنُونِ الْمَغْلُوبِ عَلَى عَقْلِهِ حَتَّى يَفِيقَ، وَعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَحْتَلِمَ، قَالَ: صَدَقْتَ، قَالَ: فَخَلَّى عَنْهَا 

ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)-এর পাশ দিয়ে যাওয়া ... অতঃপর উসমান ইবনু অবূ শাইরাহ বর্ণিত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, আপনার কি মনে নেই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন প্রকার লোকের উপর থেকে কলম তুলে রাখা হয়েছেঃ (১) নির্বোধ পাগল, যতক্ষণ না সুস্থ হয়, (২) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয় এবং (৩) নাবালেগ শিশু, যতক্ষণ না প্রাপ্তবয়স্ক হয়। একথা শুনে উমার (রাঃ) বলেন, আপনি সত্যিই বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি দন্ডিতাকে ছেড়ে দিলেন।
(আবু দাউদ ৪৪০১)

,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের মধ্যেই ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর  যেই উত্তেজনা সে দেখেছে,বা যেই উত্তেজনা  সৃষ্টি হয়েছে,এটা ঘুমন্ত অবস্থাতেই সৃষ্টি হয়েছিলো,এখন শুধুমাত্র বির্যপাত হওয়ার আগ দিয়ে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে,তাই এহেন অবস্থায় সেটা আটকিয়ে দিলে শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে।
তাই এহেন অবস্থায় সাথে সাথেই আপনা আপনি যদি বির্যপাত হয়ে যায়,তাহলে গুনাহ হবেনা।
,
আর যদি সেখানে হাত বা অন্য কোনো কিছুর স্পর্শের মাধ্যমে কেহ বির্যপাত ঘটায়,তাহলে তার হস্তমৈথুনের গুনাহ হবে।
,
যদি বির্য একেবারে লিঙ্গের মাথায় বা তার নিকটবর্তী চলে আসে,তাহলে সেটাকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দিবে।
এতে বির্যপাত হলে কোনো গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
হুজুর আমি মেহ রোগী,  হুজুর আমি খারাপ স্বপ্ন দেখছিলা্ স্বপ্ন দোষ হওয়ার আগে ঘুম ভেঙ্গে যায়,  ঘুম থেকে উঠর পর অনেক সময়  পর অল্প বীর্য বের বা পাতলা পানি বের হলে আমাকে কি ফরয গোসল করতে হবে নাকি ধুয়ে অযু করব? 
জানালে উপকৃত হতাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...