আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
188 views
in পবিত্রতা (Purity) by (41 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,

আমার পরিবারের মানুষজন ইসলাম পালন করে না, তারা পাক নাপাকীর ধার ধারে না!
যে যেভাবে পারে ঘর নাপাক করে রাখে, কেউ প্রস্রাব করে পানি দিয়ে পানি না ধুয়েই চলে আসে, বাথরুমে দাড়িয়ে প্রস্রাব করে, ঘরের ভিতর বাথরুম,

আবার বাবা, বাহির থেকে নাপাক জুতা নিয়েই ঘরের ফ্লুরে পায়চারি করে।

মনে হয় তাদের কাছে সবকিছুই পাক!
এসব নিয়ে কথাও বলি না আমি, তাহলে বাসায় ঝগড়া হয়!

এসবের কারণে আমার প্রবিত্রতা নিয়ে সন্দেহ হয়, আমার জন্য করণীয় কী উস্তাদ?

1 Answer

+1 vote
by (548,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


পেশাব থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّهُ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَقَالَ ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ

ইবনু আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু’টির বাসিন্দাদের আযাব দেওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না যা থেকে বিরত থাকা দুঃরূহ ছিল। তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। (সহীহ বুখারী ১২৭২)

অপর হাদিসে রাসূল ﷺ বলেছেন,

استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه

পেশাব থেকে নিজেকে রক্ষা করো। অর্থাৎ পবিত্র থাকো। কেননা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কবরের আজাব হবে, পেশাব থেকে ভালোভাবে পবিত্র না হওয়ার কারণে। (ইবন মাজাহ ৩৪৮ হাকিম ১/১৮৩ মুসনাদ আহমাদ ২/৩২৬)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ব্যবহৃত জামা কাপড়,জায়নামাজ যেনো নাপাক না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখবেন।এর জন্য যাহা যাহা করনীয়, তাহা তাহা করবেন।

উক্ত ঘরেই নামাজ পড়লে আপনি শুকনো কোনো স্থানে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়বেন।
তাতে মেঝেতে নাপাক থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।

বাথরুমে গিয়ে আগে পানি দিয়ে ফ্লোর ধুয়ে নিবেন।
যেই যেই ট্যাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর হাত ধুয়ে ফেলবেন।

নতুবা আগে ট্যাপ ইত্যাদি ধুয়ে নিবেন।

পরিবারের যেসকল সদস্য গন আপনার কথা কিছুটা গুরুত্ব দেয়,তাদেরকে উক্ত হাদীস গুলো বুঝিয়ে পাক থাকার নসিহত করবেন।

ইনশাআল্লাহ আস্তে-ধীরে সমাধান মিলবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 220 views
...