আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
edited by
১. কেও যদি ক্ষনিকের জন্য ভাবে যে "আল্লাহ বলতে কিছুই আসলে নেই" বা ভাবনায় ডুবে  এই ধরনের কুফরি সিদ্ধান্ত নেয়। এমন টা ভাবার পর পরেই তার মনে হলো সে কুফরি করতেছে... তখন সে সাথে সাথে তওবাও করলো। এই ক্ষনিকের কারনে কি কেও কাফের হবে? (সে স্বাভাবিক ভাবে সব ই মানে),তার কি বিবাহ দুহরাতে হবে?

২.কোরআনের কোনো বিধান কেও জানতো/মানতো,কিন্তু হঠাৎ কোনো কারণে সে বললো যে এটা বলতে কিছু নাই বা এটা করলে গুনাহ নাই, কিন্তুু পরক্ষণেই মনে হলো যে এটা তো কোরআনেই আছে না  মানার সুযোগ নাই, তখন তওবা করলো, সে কি কাফের হয়েছে?বিবাহ দুহরাতে হবে?

৩.মনে মনে কুফরি বিশ্বাস রাখলো,(যেমনঃসুদ হারাম না মানা) এমন করলে কি কেও কাফের হবে যদি না তা মুখে/কাজে বিষয়টি প্রকাশ করে?

৪. তৃতীয় জন কাফের হলে প্রথম জন কেনো হবে না?কারণ সেও তো কিছু সময়ের জন্য ভেবেছিলো তা কুফরি না কি প্রথম টা ওসওয়াসা হিসাবে ধরা হবে?যেহেতু সে কুফরি হচ্ছে খেয়াল করেই তওবা করেছে,একটু বুঝাবেন কি শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (559,170 points)
জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। 


(০১)
মনের মাঝে শুধুমাত্র বাজে চিন্তা বা কুফরী চিন্তা আসলেই ব্যক্তি কাফের হয়ে যায় না।
,
বরং ইচ্ছাকৃতভাবে জেনে শুনে মুখ দিয়ে কুফরী কথা উচ্চারণ করলে ব্যক্তি কাফের হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি কাফের হয়ে যাননি।
আপনি এখনো মুসলিম হিসেবেই রয়েছেন,
আপনি নিশ্চিত থাকুন।

(০২)
বিষয়টি যদি কুরআনে নিষেধ থাকে,আর সে যদি এধরনের কথা বলার সময় নিশ্চিত ভাবে কুরআনে আছে জেনেও এহেন কথা বলে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
বিবাহিত হলে বিবাহ দোহরিয়ে নিতে হবে। 

(০৩)
না,এতে সে কাফের হবেনা।

(০৪)
মুখ দিয়ে উচ্চারণ না করায় এতে কেউ কাফের হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...